বন্ধুরা, শুনছিলেন দাও লাং'র কন্ঠে 'তুষারস্তুপে তুষারপদ্ম' নামের গান। ২০০৫ সালে তিনি চীনের 'গোল্ডেন ডিস্ক' পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে তিনি দু'টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সারা চীনে ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন। ২০১১ সালের ১০ অগাষ্ট তিনি আরেকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে একটি তিব্বতী লোকসংগীত শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
দাও লাং, যার আসল নাম লুও লিন। তখন ১৭ বছর বয়সে লুও লিন উচ্চ বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ না-করেই সিনচিয়াংয়ের নেইচিয়াং শহরের একটি পানশালায় কিবোর্ড শিখতে শুরু করেন। দুই বছর পর দাওলাং ছেংতুং, ছুংছিং, তিব্বত ও সিআন শহরে ঘুরে ঘুরে গান গেয়েছেন। পরে তিনি স্কাল্পেল্ নামের একটি সঙ্গীত ব্যান্ড গঠন করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'পশ্চিম সমুদ্রের ভালবাসার গান' শীর্ষক গান। গানটি ২০০৬ সালে রিলিজ হয়। দাও লাং গানটির সুর রচনা করেন এবং কথা লেখেন। চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন দাও লাংয়ের কন্ঠে 'পশ্চিম সমুদ্রের ভালবাসার গান' শীর্ষক গান। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দাও লাং চীনের হাইনানে গান গেয়েছেন। তিনি স্থানীয় কয়েকজন কন্ঠশিল্পীর সঙ্গে 'পৃথিবীর সন্তান' নামের একটি ব্যান্ডও গঠন করেছিলেন। তবে পরে আয় খুব কম বলে এই ব্যান্ড ভেঙে যায়। হা নানে দাও লাং চীনের সিনচিয়াং-এর একটি মেয়ে সিয়াও জু-এর সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর ১৯৯৫ সালে দাও লাং সিয়াও জু-এর সঙ্গে সিনচিয়াং-এ গিয়ে উত্তর-পশ্চিম মিউজিক স্টুডিও গঠন করে সিনচিয়াং-এর বৈশিষ্ট্যময় সঙ্গীত রচনা শুরু করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'উটের ঘণ্টা' শীর্ষক গান। গানটি ১৯৮০ সালে প্রকাশিত একটি চলচ্চিত্রের থিম সং। দাও লাং ২০০৪ সালে পুনরায় নিজের কন্ঠে গানটি তাঁর অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত করেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন দাও লাংয়ের কন্ঠে 'উটের ঘন্টা' শীর্ষক গান। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত, দাও লাং সিনচিয়াং-এর দ্যওয়েইলুং মিউজিক কোম্পানীর প্রযোজক হিসেবে সিনচিয়াং-এর বৈশিষ্ট্যময় অনেক অ্যালবাম তৈরি করেন। তবে তার প্রথম অ্যালবাম শুধু বিক্রি হয়েছে ২ হাজার কপি। ব্যর্থতার পর তিনি নিজের সঙ্গীত-জ্ঞান সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন এবং লেখাপড়া করেন। ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি, দাও লাং-এর অ্যালবাম '২০০২ সালের প্রথম তুষার' বাজারে আসে। অ্যালবামটি সারা চীনে অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'সহকর্মীকে মিস করি' শীর্ষক গান। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন দাও লাংয়ের কন্ঠে 'সহকর্মীকে মিস করি' শীর্ষক গান। ২০০৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাঁর আরেকটি অ্যালবাম 'কাশির গাছ' রিলিজ হয়। ২০০৬ সালে দাও লাং অ্যালবাম 'তোমাকে ধন্যবাদ' এবং 'মেষচর্ম পড়া নেকড়ে' প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সালে তাঁর অ্যালবাম 'দাও লাং-এর তৃতীয় অ্যালবাম' রিলিজ হয়। তিনি দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা কার্যক্রমও আয়োজন করেন, ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৭ সালের ১৮ মে, দাও লাং সিনচিয়াং-এর উরুমুচি শহরে 'দাও লাং-এর বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট' আয়োজন করেন। ২০০৮ সালে দাও লাং 'লাল লেজেন্ড' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০১১ সালের ২০ জুন, দাও লাং চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'আবেগপ্রবণ শাস্তি' শীর্ষক গান শোনাবো। চলুন, আমরা গানটি শুনবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/রুবী)