হুও জুন সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা হলেন চীনের বিখ্যাত গীতিকার হুও ফেং। তাঁর মা জুং সিয়াও পিং একসময় কন্ঠশিল্পী ছিলেন। বাবা-মার কারণে তিনি সঙ্গীতে অনুরাগী হয়ে ওঠেন।
২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, হুও জুন শাংহাই শহরের শিক্ষার্থী শিল্পী প্রতিযোগিতার গান গাওয়া ক্যাটাগরির দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হুও জুন শাংহাই শহরের দশম যুব পিয়ানো প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার পান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় হুও জুন পানশালায় গান গাইতেন। পরে সঙ্গীত কোম্পানী তাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে লাইভ শো 'এশিয়ান ওয়েভে' অংশগ্রহণে সাহায্য করে। তারপর হুও জুন আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতের পথে পা রাখেন।
'এশিয়ান ওয়েভে' হুও জুন এশিয়া প্রতিযোগিতা এলাকার তৃতীয় পুরস্কার পান। ২০১৪ সালে হুও জুন চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির আয়োজিত কন্ঠশিল্পীর লাইভ শো 'সং অব চায়না'তে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। তাঁর স্বরচিত গান 'জুয়ান জু লিয়ান' বার্ষিক শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার গান' হিসেবে পুরস্কার পায়।
২০১৪ সালে হুও জুন নিজের প্রথম অ্যালবাম 'ঠিক আছে' প্রকাশ করেন। ২০১৫ সালে হুও জুন স্বরচিত গান 'জুয়ান জু লিয়ান' নিয়ে 'চীনা ভাষার শ্রেষ্ঠ গান' পুরস্কারের 'দেশের শ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পীর' পুরস্কার পান।
২০১৫ সালের মে মাসে হুও জুনের অ্যালবাম 'হুও জুন' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবাম নিয়ে হুও জুন ষষ্ঠ মিউজিক রেডিও বিশ্ব পপ সঙ্গীত তালিকার 'বার্ষিক সবচেয়ে অন্তর্নিহিত কন্ঠশিল্পীর' পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, হুও জুন বেইজিংয়ের গণমহাভবনে নিজের প্রথম ব্যক্তিগত কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০১৭ সালে হুও জুন এমটিভি ইউরোপ সঙ্গীত পুরস্কারের 'ইএমএ চীনা ভাষা অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীর' পুরস্কার জিতে নেন।
২০১৮ সালে হুও জুন চীনের হুনান টেলিভিশনের 'আই অ্যাম সিংগারে' অংশ নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেন।
২০১৮ সালে হুও জুন ২০১৮ সালের ফোর্বস তালিকায় চীনের ৩০ জন ৩০ বছরের নিচের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান তিনি।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হুও জুনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে, শোনা হবে গান। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)