৮ জুন চীন ও মিয়ানমারের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত ৭০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে চায়না মিডিয়া গ্রুপের এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চল, মিয়ানমারে চীনের দূতাবাস এবং ইয়াংগুন চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে "এক অঞ্চল, এক পথ--চীনা থিয়েটার" ইভেন্টটি মিয়ানমারে চালু হয়। ইভেন্টটিতে মিয়ানমারের বৃহত্তম টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র স্কাই নেটের এশিয়া চলচ্চিত্র চ্যানেল, নলেজ চ্যানেল, টিন চ্যানেল ও মিয়ানমার বিদ্যা মোবাইল ক্লায়েন্টে এবং ইয়াংগুন চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অফিসিয়াল ওয়েচ্যাটে একইসঙ্গে কয়েক ডজন চীনা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন নাটক এবং ডকুমেন্টারি চ্যানেলে প্রদর্শিত হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মিয়ানমারে যেমন 'চীনা চলচ্চিত্র উত্সব' এবং 'ওপেন এয়ার সিনেমার' মতো চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, ফিল্ম ও টেলিভিশনের কাজগুলি একটি সাংস্কৃতিক লিঙ্কে পরিণত হয়েছে; যা চীন ও মিয়ানমারের জনগণের আবেগ সংযুক্ত করে।
গত জানুয়ারিতে, যখন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সফর করেন, তখন তিনি ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট চীন-মিয়ানমার সাংস্কৃতিক পর্যটনবর্ষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন। চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকী এবং চীন-মিয়ানমার সাংস্কৃতিক ও পর্যটনবর্ষ উদযাপনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের মধ্যে ৮ জুন সম্প্রচারিত "এক অঞ্চল, এক পথ--চীনা থিয়েটার" অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।
ইয়াংগুন চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সু লিন বলেন, মিয়ানমারের শহর ও গ্রামগুলিতে "ওপেন-এয়ার সিনেমার" মতো অনুষ্ঠান মিয়ানমারের সাধারণ মানুষকে প্রচুর আনন্দ দিয়েছিল। এ বছর চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সত্তরতম বার্ষিকী এবং চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে সাংস্কৃতিক পর্যটন বছর।
এ বছর দুই দেশের মানুষ নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাত মিলিয়েছে এবং দু'দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। একটি বিশেষ ও সুন্দর দিনে 'এক অঞ্চল, এক পথ—চীনা থিয়েটার' উদ্বোধন করে দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০তম বার্ষিকীকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে।
মিয়ানমারের স্কাই নেট টিভি চ্যানেলের পরিচালক থেইন থান ও বলেন যে, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন কাজগুলি কেবল বিনোদনই নয়, একটি দেশের সংস্কৃতি ও চেতনাকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করতে পারে।
এবারে প্রদর্শিত সিনেমার মধ্যে চীনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের অভিজ্ঞতা এবং অর্জন সম্পর্কে ডকুমেন্টারি পাশাপাশি বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত চলচ্চিত্র এবং চীনা জনগণের সাথে সম্পর্কিত চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এই ফিল্ম ও টেলিভিশনের কাজগুলো মিয়ানমারের দর্শকদের জন্য বিনোদন ও আনন্দ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের জনগণকে চীন ও চীনা জনগণকে বুঝতে সহায়তা করে।
মিয়ানমার-চীন ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন মান্দালয় শাখার চেয়ারম্যান ও মিয়ানমার সাংবাদিক সমিতির চেয়ারম্যান উ তেং বলেন, মিয়ানমারের দর্শকরা দীর্ঘদিন ধরে চীনা টিভি নাটকের ভক্ত। এ সময় অনুষ্ঠিত 'এক অঞ্চল, এক পথ—চীনা থিয়েটার' দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও গভীর করার ভূমিকা রেখেছে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কার্যক্রম দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংবেদনশীল সংযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আশা করা যায় যে, 'এক অঞ্চল, এক পথ—চীনা থিয়েটার' সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের বিনিময় আরও উন্নত করবে। চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পের সূচনা এবং কাজও উত্পাদন পুনরায় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু'দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠবে।