চীন-ফ্রান্স সাংস্কৃতিক বিনিময় পদ্ধতির জরুরি পরিবর্তন দরকার। ১৩ জুন চীন ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত "বেইজিং পিপলস: দ্য লাস্ট সিক্রেট" ডকুমেন্টারি ফিল্মটি চায়না মিডিয়া গ্রুপের ভিডিও স্টুডিওতে একটি "ক্লাউড লঞ্চ" অনুষ্ঠান আয়োজন করে। চায়না মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক সেন হাই সিয়োং, ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফ্রাঙ্ককার রিসর ভিডিও'র মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলয় এবং চীনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত লরেন্ট বিলি অনলাইন ভিডিওর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এই উচ্চ পর্যায়ের চীন-ফ্রান্স যৌথ-প্রযোজনার ডকুমেন্টারির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বোঝা যায় যে, চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় মজবুত হয়ে উঠছে।
আসলে মহামারী চলাকালীন চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে অনলাইন এক্সচেঞ্জ চলমান ছিল। প্যারিস চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র "ক্লাউড ভ্রমণ অফ চীন-চীন পর্যটন ফটো প্রদর্শনী" এবং "ক্লাউড ভ্রমণ অফ চীন-চীন ফোকলোর ফটো প্রদর্শনী" অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ফ্রান্সের জন্য ২৬টি ট্রাভেল ডকুমেন্টারি এবং "সুন্দর চীন" সিরিজের ডকুমেন্টারি আপলোড করেছে। এই ডকুমেন্টারিগুলোর মাধ্যমে ফরাসি জনগণ চীনের সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।
চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় সর্বদা দুদেশের জনগণের চাহিদা। অনেক চীনার কাছে ফ্রান্স মানে রোমান্সের নগরী। দেশটি ফরাসি খাবার, সুন্দর দৃশ্য, সাহিত্য ও শিল্পের জন্য আকর্ষণীয়। ফরাসিরা মার্কো পোলো যুগের পর থেকে দূর ও রহস্যময় পূর্ব দেশের আকাঙ্ক্ষা লালন করে। নভেল করোনাভাইরাস মহামারী শেষ পর্যন্ত ইতিহাসে পরিণত হবে এবং মহামারীর কারণে যে সামাজিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তা অবশেষে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সাংস্কৃতিক বিনিময়গুলো আবারও ফিরে আসবে এবং চীন-ফ্রান্স সম্পর্কের সর্বাধিক সুন্দর অংশগুলো টিকে থাকবে।