আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে সম্প্রতি চীন একটি চিকিত্সা সহায়তাদল পাঠিয়েছে। বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার প্রাক্কালে, গত শুক্রবার চীনের চিকিৎসা সহায়তাদল, ঢাকায় চীনা দুতাবাস, হাইনান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশন এবং হাইনান প্রদেশের বিদেশবিষয়ক কার্যালয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও-সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। ভিডিও-সম্মেলনে চিকিৎসা সহায়তাদলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মত বিনিময় হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদুত লি চি মিং, চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর ইয়ান হুয়া লোং, হাইনান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের উপপ্রধান, চিকিৎসা সহায়তাদলের প্রধান লি ওয়েন সিউ, হাইনান প্রদেশের বিদেশবিষয়ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা, এবং চিকিৎসা সহায়তাদলের বাকি সদস্যরা ভিডিও-সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত লি চি মিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশ হচ্ছে পরস্পরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ; দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনালাপে বাংলাদেশে চিকিৎসা সহায়তাদল পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে প্রতিশ্রুতি অনুসারেই চিকিৎসা সহায়তাদলটি বাং লাদেশে আসছে। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় নিয়োজিত এটিই প্রথম দল। এর দায়িত্ব ভারী, মিশন কঠিন। বাংলাদেশ এ দলের কাছ থেকে অনেককিছু আশা করছে। এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মহামারী পরিস্থিতিও তুলে ধরেন।
হাইনান প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের উপপ্রধান, চিকিৎসা সহায়তাদলের প্রধান লি ওয়েন সিউ বলেন, হাইনানের স্থানীয় সরকার এবারের মিশনের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই মিশনে সেরা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং আসন্ন দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূরক কাজ সম্পন্ন করেছেন।
বাংলাদেশের জন্য গঠিত চিকিৎসা সহায়তাদলে শ্বাসপ্রশ্বাস, সংক্রমণ, ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতের মোট ১০ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাদের অনেকেই কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। দলটি ৮ জুন বাংলাদেশে পৌঁছান। দলটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, রোগনিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। পাশাপাশি, দলটি বাংলাদেশে বিভিন্ন চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দ, প্রবাসী চীনা ও চীনা শিক্ষার্থীদের ভিডিও-সম্মেলনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।