বেইজিংয়ের বসবাস এলাকায় সাধারণ কর্মীর ভাইরাস প্রতিরোধের কাজ
  2020-06-09 16:26:00  cri

এখন আমি আপনাদেরকে আরেকজন সাধারণ কর্মীর গল্প শোনাবো। তিনি হলেন বেইজিং শহরের দংছেং এলাকার একজন সাধারণ কর্মী বি লিন। তিনি জানান, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে গুরুতর সময় তিনি প্রতিদিন ২০ হাজারেরও বেশি কদম হাঁটতেন।

বি লিন সাধারণত সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি সবসময় আবাসিক এলাকার প্রবীণদের জন্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন। বসন্ত উত্সবের সময় তিনি বসবাস এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকেন। তবে, এ বছর কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সময় তিনি আরও বেশি ব্যস্ত ছিলেন।

ভোর ৫টা তিনি কাজ শুরু করতেন। এর আগে তিনি পরিবারের জন্য নাস্তা রান্না করেন। পরে বসবাসের বিভিন্ন জায়গা, সিঁড়ি, সিঁড়ির হ্যান্ড্রেল এবং প্রতিটি দরজার সামনের জমি জীবাণুমুক্ত করেন। তারপর তিনি বসবাস এলাকার প্রবেশমুখে বাসিন্দাদের অ্যাক্সেস কার্ড পরীক্ষা করেন এবং শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করেন।

তিনি যে এলাকার দায়িত্বে ছিলেন সেটি একটি পুরানো এলাকা। এলাকাটিতে সব ভবন ছয় তলা। ভবনে এলিভেটর নেই। এলাকায় ১৮টি ভবনের ৭০টিরও বেশি ইউনিট আছে। বি লিন'র মতো কর্মী প্রতিবছরে দুই বারের মতো জীবাণুমুক্ত করে। তিনি বলেন, "আমি প্রতিদিন ২০ হাজারেরও বেশি কদম হাঁটতাম। প্রথম দিকে প্রতিদিন আমার পুরো শরীর ব্যথা করতো। কিন্তু বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার ক্লান্তি দূর হয়ে যেতো।"

এলাকার কর্মীদের সেবার স্বীকৃতি দেন বাসিন্দারা। তাঁরা নিজেদের রান্না করা খাবার উপহার হিসেবে কর্মীদেরকে মাঝে মাঝে দিয়েছেন।

বি লিন'র স্বামী হলেন একজন বাস ড্রাইভার। তিনিও অনেক ব্যস্ত। দু'জন শুধুমাত্র সপ্তাহান্তে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করেন। দু'জন প্রতিদিন ৩০ মিনিট ফোনে কথা বলতেন।

চীনের প্রতিটি শহর ও গ্রামে এ ধরণের কর্মী আছেন। তাঁরা ভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম লাইনে কাজ করেছেন। তাঁরা বসন্ত উত্সব থেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছেন। যদিও এ ধরণের কাজ দেখতে ছোট ও জটিল, তবুও এর মাধ্যমে প্রত্যেক বাসিন্দার নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত হয়।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040