জুন ৯: গত সোমবার সকালে একটি চার্টার্ড বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছায় চীনের একটি চিকিৎসা সহায়তাদল। দলটি বাংলাদেশকে মহামারী প্রতিরোধক লড়াইয়ে সাহায্য করবে। দশ সদস্যের দলটি সঙ্গে করে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা-সামগ্রীও নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলটিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি চি মিং, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেন ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় বিমানবন্দরে চিকিৎসা-সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। চায়না মিডিয়া গ্রুপ, সিনহুয়া, বাংলাদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনসহ প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলো এ অনুষ্ঠান কাভার করে।
বিমানবন্দরে রাষ্ট্রদূত লি চি মিং দলটিকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০ মে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ফোনালাপে মহামারী প্রতিরোধসহ বিভিন্ন খাতে দু'দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দু'দেশের বন্ধুত্বের ইতিহাস অনেক বছরের। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ চীনকে সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছে। চীন এ জন্য কৃতজ্ঞ। এখন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চীন বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগেও চীন কয়েক দফায় বাংলাদেশে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। এবারের সহায়তাদলের সমস্যদের মধ্যে উহানে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন চিকিৎসা সংস্থা, চিকিৎসক, নার্সের সঙ্গে অভিজ্ঞতা মিনিময় করবেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরকে সাহায্য করলে অবশ্যই কোভিড-১৯ মহামারীকে পরাজিত করা সম্ভব হবে।
এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে চীনা সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং চীনা চিকিৎসা সহায়তাদলের সদস্যদেরকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞদের আগমন বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদেরকে উৎসাহিত করবে এবং কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের বিশ্বাস ও আস্থা বাড়াবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জন্য গঠিত চীনা চিকিৎসা সহায়তাদলে শ্বাসপ্রশ্বাস, সংক্রমণ, ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতের মোট ১০ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাদের অনেকেই কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। পাশাপাশি, দলটি বাংলাদেশে বিভিন্ন চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মীবৃন্দ, প্রবাসী চীনা ও চীনা শিক্ষার্থীদের ভিডিও-সম্মেলনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।(আকাশ/আলিম/রুবি)