জুন ৭: রোববার চীনা সরকার "কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে চীনের কার্যক্রম" শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এতে বিস্তারিত তথ্য ও বাস্তবতার আলোকে চীনা জনগণে কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধের কঠোর প্রক্রিয়াকে তুলে ধরা হয়েছে। এতে মহামারী প্রতিরোধক চীনা অভিজ্ঞতা ও চিকিৎসার কার্যকর পদ্ধতি শেয়ার করা হয়েছে এবং একতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এ দীর্ঘ দলিলের সর্বত্র "জনগণকে শীর্ষ স্থানে রাখা" কথাটি এসেছে। 'যে-কোনো মূল্যে প্রাণ বাঁচানো' শব্দগুচ্ছও বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। এটা হচ্ছে চীনের কোভিড-১৯ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।
একটি ১৪০ কোটি জনসংখ্যার বড় দেশ হিসেবে, অল্প সময়ের মধ্যে চীন কিভাবে মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে? শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে: "মৌলিক কারণ হচ্ছে সিপিসির দৃঢ় নেতৃত্ব"। মহামারীর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর, চীনের শীর্ষ নেতা সি চিন পিং সবসময় জোর দিয়ে বলেছেন যে, জনগণের প্রাণের নিরাপত্তা ও শারীরিক সুস্থতা শীর্ষ স্থানে রাখতে হবে। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্ব ও নিদের্শনায় হুপেই প্রদেশ ও উহান শহরকে লকডাউনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। "একটি বিশেষ ঘটনায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়"। এতে একটি বড় দেশের নেতা হিসেবে তাঁর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, দায়িত্ববোধ, প্রাণ ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি ফুটে ওঠে।
শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৪ বার সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বেইজিং, উহান ইত্যাদি শহর পরিদের্শন করেন; পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়মতো যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ও নিদের্শনা দেন।
মহামারীর সংকট মোকাবিলায় সাফল্যের কারণে সিপিসি চীনা জনগণের আরও সমর্থন পেয়েছে। সিপিসি'র ওপর চীনা জনগণের নির্ভরতাও বেড়েছে। চীনা জনগণ বিশ্বাস করে যে, সংকটকে সুযোগে রূপান্তরিত করা সম্ভব যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে। (আকাশ/আলিম/রুবি)