"দারিদ্র্যবিমোচনের কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা কীভাবে আমাদের কাজের ফলাফল ধরে রাখব এবং কীভাবে আমরা জনগণের জীবনকে আরও উন্নত করতে পারি? সরকারি কার্যবিবরণী শোনার পরে প্রত্যেকেই একটি উত্তর পেয়েছে।" এনপিসির বার্ষিক সম্মেলন বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিংসিয়ার উচুং শহরের হংসিবাও জেলা থেকে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি সদস্য মা হুইচুয়ান সরকারি কার্যবিবরণীর সাথে মিলিয়ে তার গল্পটি বলেছিলেন। হংসিবাও জেলার বাসিন্দারা ওয়াইন শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচন করেছেন।
মা হুইচুয়ান নিংসিয়ার হেইইয়েনওয়ান গ্রামের বাসিন্দা। যেহেতু তিনি তার মোবাইল ফোনে লিখতে পছন্দ করেন, তাই তাকে "থাম্ব রাইটারও" বলা হয়। মা হুইচুয়ানের শৈশব স্মৃতি উল্লেখ করেন। তখন থেকেই তার জন্মস্থানের লোকেরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। এতদিন পর গ্রামটিতে রাস্তা গেছে। সেই থেকে গ্রামবাসীদের জীবন সমৃদ্ধ হওয়া শুরু হয়। গ্রামে সবজি বিক্রি করা ব্যবসায়ী আসেন, তরমুজ কেনাবেচা করেন, তারপরে চাল বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রত্যেকে গ্রামে নতুন পণ্য আসার অপেক্ষায় থাকে।
২০ বছর বয়সে মা হুইচুয়ান বিয়ে করেন এবং তার স্বামীর সাথে হংসিবাও জেলার ইয়ুছি গ্রামে চলে যান। এটি পরিবেশগত দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য কেন্দ্রীভূত পুনর্বাসনের অঞ্চল, সিহাইগু পর্বতের গভীরতা থেকে বাসিন্দারা এই নতুন গ্রামে চলে আসেন, যেখানে বসবাসের পরিবেশ অনেক কঠোর ছিল। সিহাইগু হলো দক্ষিণ নিংসিয়ার আটটি দরিদ্র কাউন্টির সম্মিলিত নাম এবং এটি নিংসিয়ার দারিদ্র্য বিমোচনের মূল অঞ্চল। ১৯৯৯ সাল থেকে সিহাইগুর হাজার হাজার কৃষক একটি নতুন জীবন শুরু করার জন্য হংসিবাও জেলায় চলে যায়।
২১ বছর আগে, কৃষকদের মাথাপিছু আয় ৫০০ ইউয়ানেরও কম ছিল। ওয়াইন শিল্প বিকাশের ২০ বছর পর কৃষকদের বার্ষিক মাথাপিছু ডিসপোজেবল আয় ইতিমধ্যে ১০ হাজার ইউয়ানে পৌঁছায়। মা হুইচুয়ান গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামবাসীদের দারিদ্র্য বিমোচনের গল্প রেকর্ড করেছেন। ২০০৮ সালে, তিনি তার প্রথম মোবাইল ফোন কিনেন এবং লেখালেখি শুরু করেন। ২০১৬ সালে মা হুইচুয়ান তার প্রথম বই "সিফেং সুইয়ু" প্রকাশ করেন। তিনি একটি ব্যক্তিগত উইচ্যাট পাবলিক অ্যাকাউন্টও খোলেন এবং অনেক কৃষক তার "অনুরাগী" হয়ে ওঠে। তিনি বলেছিলেন, "আমি তাদের কীভাবে মন দিয়ে ও পরিশ্রমের সঙ্গে জীবনযাপন করে তা রেকর্ড করতে চাই।"
জানা গেছে, মা হুইচুয়ানের বই ইংরেজি, আরবি, কাজাখ, ফার্সি, রাশিয়ান ইত্যাদি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে এবং বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে।