জুন ১: কোভিড-১৯ রোগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু কিছু দেশ চীনের বিরুদ্ধে নোংরামি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ভাইরাস সংক্রমণের পর মার্কিন কিছু রাজনীতিবিদ চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ও চীনের সমালোচনা করেছেন। এমনকি, এ ভাইরাসের ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার চীনকে বহন করতে হবে বলে দাবি করেছেন। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং পুরোপুরি মার্কিন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিষয় বলে মনে করেন চীনা বিশেষজ্ঞরা।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইন কমিটির সদস্য এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক আইন কমিটির সদস্য হুয়াং হুই খাং মনে করেন, আকস্মিক মহামারী আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'মূলত, একটি বৃহত্ আকারের মহামারী বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যহানির ঘটনা। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৯ সালে এইচ১এন১ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী সোয়াইন ফ্লু মহামারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু হয়। মেক্সিকো ওই ভাইরাসের কথা প্রথম প্রকাশ করে। ক্ষতিপূরণের দায়ভার বহন করতে মেক্সিকোর প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, বিশ্বের অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে এসব ক্ষতির দায়ভার বহনের অনুরোধ জানায়নি।
কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রমণের পর, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল মনোভাব নিয়ে চীন যথাযথভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সমাজকে এ ভাইরাস মোকাবিলা ও চিকিত্সার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন পক্ষকে সহায়তা দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে চীন। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন গবেষণালয়ের প্রধান ও অধ্যাপক সিয়াও ইয়ুং পিং বলেন, এটি পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিষয়।
(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)