মাইক পম্পেও বাস্তবিকই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী: সিআরআই সম্পাদকীয়
  2020-05-29 17:16:56  cri

মে ২৯: 'তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কোনো কূটনৈতিক কৃতিত্ব অর্জন করেননি।' সম্প্রতি 'নিউইয়র্ক টাইমস' পত্রিকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এভাবে বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-কে বর্ণনা করা হয়।

মার্চ মাসের শেষ দিকে ওয়াশিংটন পোস্ট 'পম্পেও হচ্ছেন সবচেয়ে খারাপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম' বলে মন্তব্য করে। এবার 'নিউইয়র্ক টাইমস' আরও স্পষ্টভাবে তাকে 'সবচেয়ে খারাপ' পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে আখ্যায়িত করলো। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে মার্কিন সমাজ স্পষ্টভাবেই উপলব্ধি করতে পারছে যে, মার্কিন জনগণের জানমাল ও দেশের স্বার্থের ওপর পম্পেওয়ের নেতিবাচক প্রভাব কতোটা ক্ষতিকর।

'নিউইয়র্ক টাইমস' পত্রিকায় কূটনীতিতে পম্পেওয়ের অর্জনহীনতাকে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, গুজব সৃষ্টি করে নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপানো এবং ফেডারেল সরকারের সম্পদের অপব্যবহার করার ক্ষেত্রে পম্পেও চ্যাম্পিয়ন প্রমাণিত হয়েছেন।

সম্প্রতি পম্পেও অস্ট্রেলিয়াকে হুমকি দিয়ে বলেন, চীনের সঙ্গে সেদেশের ভিক্টোরিয়া রাজ্যের স্বাক্ষরিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' সহযোগিতাচুক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম খাতের নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেললে ট্রাম্প প্রশাসন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গোয়েন্দা-তথ্য বিনিময় বন্ধ করে দেবে।

চীনের ওপর দোষারোপ করা থেকে শুরু করে মিত্রদের হুমকি দেওয়া পর্যন্ত—সবকিছুই করে আসছেন পম্পেও; বানিয়ে চলেছেন একের পর এক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। সহজেই বোঝা যায়, তার চোখে কোনো মিত্র নেই; তারা তার নিজের রাজনৈতিক হাতিয়ার মাত্র। খুবই হাস্যকার বিষয় হলো, পম্পেও নির্লজ্জের মতো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মহামারী প্রতিরোধে বিশ্বে নেতৃত্বের শক্তি। মহামারী প্রতিরোধে চীনের সাহায্যকে তিনি 'সামান্য' বলে আখ্যায়িত করেন। অথচ, সবার আগে মহামারী নিয়ন্ত্রণে এনেছে চীন। চীন বিভিন্ন দেশকে সর্বাত্মক সাহায্যও করে আসছে। চীনের সংশ্লিষ্ট সাহায্য সময় ও ইতিহাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

মহামারী পরিস্থিতি যখন বিশ্বব্যাপী মারাত্মক, ঠিক তখন পম্পেও হু'র সদস্য-ফি স্থগিতের হুমকি দেন; মহামারীর অজুহাতে ইরান ও কিউবার ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন মানবিক দুর্যোগ সৃষ্টি করেন; এবং বর্ণবাদ প্রচারণার মাধ্যমে সকল এশীয় বংশোদ্ভূত মানুষদের জন্য হুমকি ও সমস্যা সৃষ্টি করেন। এভাবেই কি যুক্তরাষ্ট্র মহামারীর বিরুদ্ধে বিশ্বের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে? (লিলি/আলিম/শুয়ে)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040