চলতি বছর নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর এই বিশেষ সময়ে চীনের 'দুই অধিবেশন' চলাকালে কয়েকবার এনপিসি'র প্রতিনিধি এবং সিপিপিসিসি'র সদস্যদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তার উষ্ণ কথার পিছনে রয়েছে গণজীবিকার প্রতি তার সুগভীর যত্ন।

জাতীয় গণকংগ্রেস (এনপিসি)-র অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে অন্তর্মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদলের পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট সি বেশ কয়েকবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাস করেন: চলতি বছর মহামারী অর্থনীতির ওপর বেশি প্রভাব ফেলেছে কি?
মহামারী মোকাবিলার ক্ষেত্রে চীন বরাবরই 'জনগণকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়ার' নীতি অনুসরণ করে আসছে।
মহামারী সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের ওপর নির্ভর করে মনোযোগ দিয়ে জনগণের উদ্বেগের সঙ্গে জড়িত কর্মসংস্থান, শিক্ষা, সামাজিক বীমা, চিকিত্সা, বাড়িঘর এবং পেনশনসহ বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার সমাধান করা উচিত, যাতে জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনা যায়।

কিভাবে সংকটের মধ্যে সুযোগ সৃষ্টি করা যায় এবং পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির মধ্যে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায়? সিপিপিসিসি'র রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলের যৌথ গ্রুপ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ব্যাপকভাবে সৃজনশীলতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং কৌশলগত নবোদিত শিল্প উন্নয়নের গতি দ্রুততর করা উচিত, যাতে নতুন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চীনের অংশগ্রহণের নতুন সুবিধা লালন করা যায়।

দেশের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সি বিশেষভাবে ব্যক্তি-উদ্যোক্তা এবং কৃষকদের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। হুপেই প্রদেশের প্রতিনিধিদলের পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট সি বলেন, 'হুপেই এবং উহানের জনগণ এবারের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং বিশাল ত্যাগও স্বীকার করেছেন। আমি তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।' (লিলি/আলিম/শুয়ে)






