তিনি বলেন, এবারের মহামারীতে টিকার গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের বিজ্ঞানীরা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আসছে। অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর ভ্যাকসিন এবং নিষ্ক্রিয় ভাইরাস টিকাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গবেষণামূলক কাজের ক্ষেত্রে চীন সারা বিশ্বে এগিয়ে আছে।
তিনি বলেন, চীনে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। তাই চীনে আবিষ্কৃতি টিকা ও সংশ্লিষ্ট ওষুধের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, ভাইরাস ও বিজ্ঞানের কোনো রাষ্ট্রীয় সীমা নেই। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময়ের ফলে বিজ্ঞানের চেতনা জয়ী হবে এবং প্রযুক্তির সৃজনশীলতা বাড়বে।
এর আগে ২২ মে চীনের গবেষণাদল 'ল্যানসেট' নামের ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে নভেল করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম মানবদেহে প্রয়োগের ফলাফল প্রকাশ করে। এই ফলাফলকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করে গবেষণাদলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের টিকা গবেষণা হলো অভূতপূর্ব একটি চ্যালেঞ্জ। টিকা ইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও, এখনই বলা যাবে না যে, মানবজাতি ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে এ ফলাফল থেকে প্রমাণিত হয় যে, টিকার ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
উল্লেখ্য, ২৩ মে পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৫১ লাখ মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং ৩ লাখ ৩০ হাজার লোক এতে মারা যান। (লিলি/আলিম/শুয়ে)