মার্চ মাস থেকে মার্কিন সরকার করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে সহানুভূতিহীনভাবে অন্তত এক হাজার অভিবাসী শিশুকে সঙ্গীহীন অবস্থায় ম্যাক্সিকো, সালভাদর, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাসে ফেরত পাঠায়। অনেক শিশুর দেশে কোনো আশ্রয় জায়গা নেই বলে, সীমান্তের কাছাকাছি অনাথশালায় আশ্রয় পায়। কেউ কেউ রোগের কারণে মৃত্যুর মুখোমুখী।
জাতিসংঘের শিশু তহবিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এসব শিশুর জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আসলে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু, গরিব এবং বিভিন্ন বর্ণের মানুষ ভাইরাসের সময় যুক্তরাষ্ট্রে যে কঠিনতার সম্মুখীন হয়, তা কয়েক ডজন বছর ধরে সৃষ্ট মার্কিন সমাজের বৈষম্যবাদ এবং ধনী ও গরিবের পার্থক্য বাড়ানোর সামাজিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন কোনো কোনো রাজনীতিকের কারণে এমন অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।
সমাজের দুর্বল জনগোষ্ঠীর লোকজনের ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হওয়া এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি হওয়া সরকারের যথেষ্ঠ মনোযোগ পায়নি।
আজকের যুক্তরাষ্ট্রে, একশ্রেণির রাজনীতিকের অভিনয়, ঠিক যেন যুক্তরাষ্ট্রের 'টাইম' ম্যাগাজিনের প্রবন্ধের ভাষ্যের মতো: করোনা ভাইরাসের মহামারী মার্কিন গণতন্ত্রের ব্যর্থতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। (শুয়েই/আলিম)