মে ১৯: কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ দেখা দিলে চীনের ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ও পদ্ধতির সঙ্গে পাশ্চাত্যের ঔষধ ও পদ্ধতির সমন্বিত ব্যবহার করা হয়। এতে কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে।
সংক্রামক রোগ চিকিৎসায় চীনের ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ও পদ্ধতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সার্স ভাইরাসের চিকিৎসায় চীনের ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ও চীনের ঐতিহ্যবাহী রোগ নিরাময় পদ্ধতি দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ঔষধ আরটেয়ান্নুইন চীনের ঐতিহ্যিক ঔষধ ও পদ্ধতির বইয়ে খুঁজে পাওয়া গেছে। যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
মহামারি চিকিৎসার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ ও পদ্ধতির সঙ্গে পাশ্চাত্য ঔষধ ও পদ্ধতির সমন্বয়ে চিকিৎসা প্রক্রিয়া দ্রুত হয়েছে এবং চিকিৎসার গুনগত মান বেড়েছে। পাশাপাশি এতে গুরুতর লক্ষণযুক্ত রোগীদের সমস্যা দূর হয়েছে ও তাদের অঙ্গ রক্ষা করা গেছে।
চীন এসব অভিজ্ঞতা বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করেছে। হু'র সঙ্গে সহযোগিতাও করে আসছে চীন। চীনের সবচেয়ে হালনাগাদ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ ও পদ্ধতির গাইড বই ইংরেজি ভাষাসহ নানা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বিদেশে পাঠানো চিকিৎসকদলগুলোর বেশিরভাগই ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধের চিকিৎসক রয়েছে। চীন অসংখ্য দেশ ও অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ ও চিকিৎসা-সামগ্রী দিয়েছে। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধের চিকিৎসকরাও অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের চিকিৎসকদের সঙ্গে চিকিৎসার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)