নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা, সহযোগিতা এবং দারিদ্র্য নিরসনমন্ত্রী পদ্ম কুমারী আড়িয়াল বলেন, সেদেশের সরকার ২০১৯ সালে বিশেষজ্ঞ গ্রুপ পাঠিয়ে চোমোলাংমা পবর্তের উচ্চতা পরিমাপ করে। এ বছর চীন পুনরায় পরিমাপ করার পর দু'দেশ ফলাফল প্রকাশ করবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে নেপালে সংঘটিত ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পে চোমোলাংমা পর্বতের উচ্চতা প্রভাবিত হয়েছিল কি না, তা বিশ্ব জানতে চায়। চোমোলাংমা পর্বতের উচ্চতা পরিমাপ হলো দু'দেশের অভিন্ন দায়িত্ব।
মন্ত্রী আড়িয়াল বলেন, 'এ কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোমোলাংমা পবর্ত আমাদের দু'দেশের মাঝখানে। পর্বতটি হলো দু'দেশের গর্ব। চোমোলাংমা হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত। ২০১৫ সালে নেপালে ভূমিকম্পের পর পর্বতটির উচ্চতা কমবেশি হয়েছে কি না, তা বিশ্বের সবাই জানতে চায়। আমরা দু'দেশ দুই দিকে পরিমাপ করার পর বিশ্বের কাছে ফলাফল প্রকাশ করবো। আমার মনে হয়, এটি খুবই প্রয়োজনীয়।'
নেপালের নেপাল-চীন গণমাধ্যম সমিতি'র সভাপতি ধুরুবা পৌদেল সম্প্রতি সিএমজি'র সাংবাদিককে বলেন, আসলে চোমোলাংমা পর্বতের উচ্চতা অনেক বছর আপডেট করা হয়নি। বহু বছরে পর্বতটির উচ্চতায় জলবায়ু ও ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের প্রভাব একটি রহস্য, যা বিশ্ব সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন,
চোমোলাংমা পর্বত শুধু যে নেপাল ও চীনের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমান্ত, তা নয়; বরং দু'দেশের মৈত্রীর প্রতীক। চোমোলাংমার উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার, যা অনেক বছর আগে পরিমাপ করা হয়।
নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা, সহযোগিতা এবং দারিদ্র্য নিরসন মন্ত্রী পদ্ম কুমারী আড়িয়াল জানান, ২০১৯ সালে নেপালের সমীক্ষা ও ম্যাপিং ব্যুরোর দু'জন বিশেষজ্ঞ চোমোলাংমা পরিমাপের সময় পর্বতের শীর্ষে এক ঘন্টা ১৬ মিনিট ছিলেন। এ কাজ খুবই বিপদজ্জনক। এর মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ প্রায় জীবন হারিয়েছিলেন। সেজন্য এ বছর চীনের পরিমাপ কাজের ওপর নেপালী বন্ধুরা বেশি মনোযোগ রেখেছেন। এ সম্পর্কে আড়িয়াল বলেন,
'চীনের পরিমাপ গ্রুপ পর্বত শীর্ষে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য শুভ কামনা করি আমি। আশা করি, আপনারা উচ্চ মাত্রার সতর্কতা ও সতর্কতা বজায় রাখবেন এবং সফলভাবে পরিমাপ কাজ সম্পন্ন করবেন। ইতিহাসে আপনাদের সাফল্য স্মরণ করা হবে।'(ছাই/আলিম/রুবী)