মে ১৮: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (রোববার) বেইজিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাক শিক্ষার্থীদের চিঠির জবাব দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের চীনে এসে পড়ালেখার জন্য স্বাগত জানান এবং তাদেরকে উৎসাহ দেন। তিনি চীনের যুবকদের সঙ্গে বিনিময় করা, বিশ্বের নানা দেশের যুবকদের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিময় এগিয়ে নেওয়া এবং অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গঠনে অবদান রাখার কথা বলেন।
চিঠিতে তিনি বলেন, আপনারা চীনে আসার পর, জ্ঞান-বিজ্ঞান শেখার পাশাপাশি অনেক চীনা বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আপনাদের অর্জিত সাফল্যের জন্য আমি আনন্দিত।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রকোপ শুরু হলে, চীন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই চীনে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা ও সুস্থতার উপর গুরুত্ব দিয়েছে ও তাদের যত্ন নিয়েছে। চীনে অবস্থানরত সব মানুষের বিশেষ যত্ন নিয়েছে চীন সরকার।
সি চিন পিং আরও বলেন, আমি জানি মহামারী প্রতিরোধের সময় অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে চীনা জনগণকে উৎসাহ দিয়েছে এবং সমর্থন জানিয়েছে। বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। চীন অব্যাহতভাবে চীনে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা সাহায্য দেবে। বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে চীনে এসে লেখাপড়ার জন্য স্বাগত জানায় চীন। আশা করি, আপনারা চীন সম্পর্কে আরও বেশি জানবেন, বিশ্বের কাছে আপনাদের চোখে দেখা চীন বেশি করে তুলে ধরবেন।
উল্লেখ্য, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী আছে। তাদের মধ্যে ৪৯জনই পিএইচডি ও মাস্টার্স-এ অধ্যয়নরত। সম্প্রতি তারা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠিতে চীনে অধ্যয়নের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোভিড-১৯ প্রকোপের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্ন ও সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। লেখাপড়া শেষ করে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ এবং চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব জোরদারে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তারা।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)