মহামারীবিরোধী বিভিন্ন ব্যবস্থা এবং জনগণের সম্মিলিত চেষ্টায়, হংকংয়ে টানা ১৭ দিন ধরে কোনও নতুন স্থানীয় কেস পাওয়া যায়নি এবং মহামারী হ্রাস পেয়েছে। হংকং বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবা পর্যায়ক্রমে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
"অবশেষে এটি আবার খুলেছে এবং আমি আবার বই পড়তে পারি।" হংকংয়ের নাগরিক মিস হুয়াং বলেন, তিনি চার্টার্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তবে কিছু রেফারেন্স বই বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না, এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে অনেকগুলি সংগ্রহ রয়েছে। তিনি আজ এটি বইগুলোর জন্য এখানে এসেছেন।
জনসমাগম এড়াতে হংকংয়ের পুনরায় চালু করা লাইব্রেরিগুলো বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গ্রন্থাগারে আসা ও নাম দাখিল করার পর ধারাবাহিকভাবে প্রবেশ করা লোকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং লাইব্রেরিতে প্রবেশকারী পাঠকের সংখ্যা ২৫০ এর বেশি হতে পারবে না।
লাইব্রেরির বাইরের লাইনে অপেক্ষা করা মি. ওয়াং সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি দুপুর তিনটার দিকে দরজায় এসে পৌঁছান, কিন্তু ব্যবস্থা অনুসারে বিপুল সংখ্যক লোকের কারণে তিনি বিকেল ৫ টায় লাইব্রেরিতে প্রবেশ করার সুযোগ পান।
"এরকম লাইব্রেরি ব্যবস্থা খুব ভাল, জনসাধারণের জন্যও ভাল।" তিনি বলেন যে, হংকংয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হংকংয়ের বৃহত্তম পাবলিক লাইব্রেরি। কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকায় তিনি গ্রন্থাগারে জনতার প্রবাহ নিয়ে চিন্তিত নন।
"নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য, গ্রন্থাগার পরিষ্কারের কাজ আরও জোরদার করা হবে এবং সময়মতো জীবাণুমুক্ত করা হবে। বায়ুচলাচল ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে এবং ইনডোর বায়ু সঞ্চালন বজায় নিশ্চিত করা হয়েছে।"
গ্রন্থাগার কর্মীরা বলেছে যে, মহামারী প্রতিরোধের তথ্য গ্রন্থাগারের কাঁচের জানালাতেও লাগানো হয়েছিল, এই আশায় যে জনসাধারণ তা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
আরও ৬টি বড় লাইব্রেরি রয়েছে যা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সঙ্গে এক সাথে খোলা আছে। যেমন, সিটি হল পাবলিক লাইব্রেরি, কাউলুন পাবলিক লাইব্রেরি, ছুয়ানউয়ান পাবলিক লাইব্রেরি, শা টিন পাবলিক লাইব্রেরি ইত্যাদি।
একই দিন হংকংয়ের ১৩টি জাদুঘরও খোলা হয়েছে। যেমন হংকংয়ের আর্ট মিউজিয়াম, হংকং সাংস্কৃতিক যাদুঘর, হংকংয়ের ইতিহাস জাদুঘর ইত্যাদি।
জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই