বিশ্বের দেশে মার্কিন জৈব গবেষণাগার! যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য কী!
  2020-05-17 16:14:00  cri
মে ১৭: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভ সম্প্রতি এক ভিডিও সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশে অনেক জীববিজ্ঞান পরীক্ষাগার গড়ে তুলেছে এবং এ পরীক্ষাগারের গবেষণার বিষয়গুলো সবসময় গোপন থাকে। এটি খুব সন্দেহজনক! লাভরোভের এ কথায় আন্তর্জাতিক সমাজের সন্দেহ ও দুশ্চিন্তা প্রকাশিত হয়েছে।

বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এত বেশি জৈবিক পরীক্ষাগার গড়ে তোলার লক্ষ্য কী?

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশটি রাশিয়া ও চীনের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে ১৫টি সুরক্ষিত ও গোপন গবেষণাগার গড়ে তুলেছে। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ২৭টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগার ছিল ও আছে। জানা গেছে, কেবল ইউক্রেনেই ১৫টি, জর্জিয়ায় ৩টি এবং ১১টি ছোট গবেষণালয় নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের জীববিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিমাণ ২০০টিরও বেশি বলে নিশ্চিত করেছে রুশ ফেডারেলের নিরাপত্তাবিষয়ক সচিব পাদ্রোসেফ।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গত এপ্রিল বলেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 'জৈব সন্ত্রাস' দমনের অজুহাতে রাশিয়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে জীববিজ্ঞান পরীক্ষাগার গড়ে তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ ইউক্রেনের কিছু মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের বিশ্লেষক আলেক্সান্ডার লাজারেভ মনে করেন, ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন গবেষণাগারে সামরিক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে, যা গোটা ইউক্রেনের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। পাশাপাশি, সেসব গবেষণা মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চালে। তারা মার্কিন বাহিনীর লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে।

কিছু গণমাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ প্রকল্পের গবেষণা বিদেশের ল্যাবে পরিচালিত হয়।

তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সেসব জীবাণু গবেষণাগারে করোনাভাইরাস নিয়ে কি গবেষণা হয়েছিল? এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আসলে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে বহুবার দুর্ঘটনাও ঘটেছিল। মার্কিন পরিসংখ্যান দফতর এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের পি৩ মানের ল্যাবগুলোতে ৪০০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে!

(রুবি/তৌহিদ/শিশির)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040