১১ জানুয়ারি থেকে টিকা গবেষণা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র! এ নিয়ে জনমনে তিনটি প্রশ্ন
  2020-05-17 15:27:25  cri
মে ১৭: বর্তমানে সারা বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। তবে মহামারি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে টিকা আবিষ্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেক দেশ টিকা গবেষণার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এদিকে গত ১৫ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, দেশটি গত ১১ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের টিকা গবেষণার কাজ শুরু করেছে এবং এ বছরের শেষ নাগাদ টিকা বাজারে আসতে পারে।

ট্রাম্পের এ বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে!

সবাই জানেন যে, গত ১২ জানুয়ারি চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে করোনাভাইরাসের জিনের গঠন হস্তান্তর করে এবং সারা বিশ্বে সতর্কতা জারি করে। চীন যখন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ভাইরাসের জিনের গঠন জানতে পারে, ঠিক তখন যুক্তরাষ্ট্রে টিকার গবেষণা শুরু হয়! এটি দারুণ আশ্চর্যজনক তথ্য! জিন সিকোয়েন্স জানার আগে কোনোভাবেই টিকা গবেষণা শুরু করা যায় না। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের আগেই এ ভাইরাসের জিনের গঠন জানতো?

টিকা গবেষণা এতো তাড়াতাড়ি কীভাবে শুরু করলো মার্কিন সরকার? তবে কেন দেশে দ্রুত প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করে নি? মার্কিন সরকারের এ আচরণে দেশটির নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

জনৈক চার্লি ওয়াকার বলেন, "প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, ১১ জানুয়ারি থেকে টিকা গবেষণা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি খুব মজার কথা। মনে হয় কেউ কেউ ইতোমধ্যেই জানত যে, আমরা কি ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবো!

একজন নেটিজেন সমালোচনা করে বলেন, "খারাপ বিষয় হচ্ছে যে, রাজনীতিকরা পুরো ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চের অধিকাংশ সময়ে রাজনীতিকরণ করছেন। এমন কি তারা কোভিড-১৯ মহামারিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটি ট্রাম্প ও তার রাজনীতিকদের অবহেলায় হত্যাকান্ড।

টিকা চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসা প্রসঙ্গে মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ 'অসম্ভব' বলে নাকচ করে দেন। মার্কিন জাতীয় এলার্জি ও সংক্রমণ গবেষণালয়ের মহাপরিচালক এন্থোনি ফাউসি বারবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা গবেষণায় কমপক্ষে ১২-১৮ মাস লাগবে।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একাকী টিকা গবেষণা করায় বেশি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা গত ১২ মে এক প্রবন্ধে বলে, এটি আগের এইডস ও ইবোলা ভাইরাসের মতো নয়। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করছে এবং একাকী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত থিংকট্যাংক সংস্থা-সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের মহাপরিচালক স্টিফান মোরিসোন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি অনুসরণ করছে। এতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে ও নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, টিকা উন্নয়নের সামগ্রিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে যেতে পারে।

(রুবি/তৌহিদ/শিশির)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040