মে ১৬: সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান গণমাধ্যমগুলো একই সুরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র সমালোচনা করেছে। চীনের সার্চ ইঞ্জিন পাইতু সূচক অনুযায়ী, মাইক পম্পেওকে নিয়ে সমালোচনার হার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে বেশি।
গত ১৮ এপ্রিলে চায়না মিডিয়া গ্রুপের খবরে ৫ দফায় চীনের বিরুদ্ধে মাইক পম্পেও'র অপমানের সমালোচনা করা হয়।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত সিএনএনসহ বেশ কয়েকটি প্রধান গণমাধ্যমে সিএমজি'র খবরের বরাত দিয়ে মাইক পম্পেও'র সমালোচনা করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চীনকে অপমান করা মাইক পম্পেও'র অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে তিনি ১৪৮২টি মন্তব্য করেছেন; তার মধ্যে চীন নিয়ে রয়েছে ১৫২টি, যা মোট পরিমাণের এক দশমাংশ। বিশেষ করে ২০২০ সালে এ হার এক পঞ্চমাংশে উন্নীত হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনকে নিয়ে করা মন্তব্যের মধ্যে ৮০ শতাংশই চীনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে তিনি তিনটি ক্ষেত্রে চীনকে দোষারোপ করেছেন। সেগুলো হলো, 'ভাইরাসের উত্পত্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে অস্বচ্ছ তথ্যের দাবি এবং মহামারির দায় চীনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া।
মাইক পম্পেও'র চীন সম্পর্কিত মন্তব্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরিসংখ্যান দেখা যায়, গণমাধ্যমগুলোর খবরে অধিকাংশই মাইক পম্পেওকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, 'কৌশল খুব স্পষ্ট। রিপাবলিকান পার্টি ঘন ঘন ফক্স নিউজে মন্তব্য করছে এবং টুইটারে চীনের তীব্র সমালোচনা করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে সরকারের মহামারি মোকাবিলার ব্যর্থতার দায় চীনের ওপর সরিয়ে দেওয়া।
২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়, মহামারি মোকাবিলায় নিজের ব্যর্থতা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর চাপিয়ে দেওয়া মাইক পম্পেও ও ট্রাম্পের উচিত না।
ব্রিটেনের দ্য টাইমস পত্রিকায় বলা হয়, করোনাভাইরাস উহানের ল্যাব থেকে আসার অনেক প্রমাণ আছে- দাবি করেন পম্পেও। তবে যখন তাকে বলা হয় যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তার এ কথার বিরোধিতা করেছে, পম্পেও তাতে সম্মতি জানান এবং বলেন, 'তাদের কথা ঠিক আছে'!
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মহামারির প্রতিরোধ কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে। মাইক পম্পেও দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে জন-নিরাপত্তার দিকে নজর দেন নি, বরং অন্য দেশকে দোষারোপের অপচেষ্টা চালিয়েছেন। তাতে কেবল তার নিজের ভাবমূর্তিই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মর্যাদাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
(রুবি/তৌহিদ/শিশির)