বড়ুয়া বলেন, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কাছে মহামারীসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে এবং পরে দ্রুততম সময়ে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বের করে তা-ও ভাগাভাগি করে। চীন বরাবরই আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সমন্বয় বজায় রেখে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্টভাবেই জানায় যে, নভেল করোনাভাইরাস ল্যাব থেকে নয়, প্রকৃতি থেকে এসেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে চীন সরকার বরাবরই জনগণের স্বাস্থ্যকে প্রথম স্থানে রেখে এসেছে এবং দেশব্যাপী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অল্পসময়ের মধ্যে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করেছে। আন্তর্জাতিক সমাজ এর ভূয়সী প্রশংসাও করেছে। চীন দৃঢ়ভাবে বিশ্বায়ন ও বিশ্বের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে থাকে। বাংলাদেশসহ ভাইরাস-উপদ্রুপ দেশসমূহকে নিঃস্বার্থ সাহায্যও দিয়েছে চীন।
দিলিপ বড়ুয়া প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই ভেবে ভীত যে, দ্রুত উন্নয়নশীল চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা ও বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ হয়ে উঠবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব আধিপত্যে বিশাল হুমকি সৃষ্টি করবে। বাণিজ্যযুদ্ধ এবং নভেল করোনাভাইরাসবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালা থেকে পুরোপুরিভাবে প্রমাণিত হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার এক নম্বর শত্রু হিসেবে মনে করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সরকার বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থা থেকে সরে এসেছে এবং চীনের উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে আসছে। মার্কিন প্রশাসন মহামারীর অজুহাতে অব্যাহতভাবে বাস্তবতা উপেক্ষা করে চীনের মুখে কালি দিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো মার্কিন জনগণের দৃষ্টি চীনের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া। মহামারী ঠেকাতে বর্তমান প্রশাসনের ব্যর্থ ঢাকতে এবং সাধারণ নির্বাচনে উত্তরণের কৌশল হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা চীনের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। অথচ এর মধ্যে সত্যতার লেশমাত্র নেই। (লিলি/আলিম/শুয়ে)