সভায় সি চিন পিং বলেন, বর্তমানে দেশের মধ্যে মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি ভাল। কিন্তু বিদেশে মহামারী পরিস্থিতি এখনও গুরুতর ও জটিল। তাই মহামারীর সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে প্রতিরোধের কাজ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। হিলংচিয়াং, চিলিন এবং অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে সাম্প্রতিক মহামারী দেখা দিয়েছে, সেখানে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। হুপেই প্রদেশ এবং উহান শহরে কমিউনিটি নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে হবে। বেইজিংয়ে আসন্ন 'দুই অধিবেশন'-এর জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ চালাতে হবে। তা ছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু করার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
সভায় বলা হয়, সরবরাহ ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারকে আরও গভীর করা এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বাজার আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন। মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ভিত্তিতে মূল শিল্প চেইন এবং বড় বিনিয়োগ প্রকল্পগুলির ওপর অব্যাহতভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সকল ধরণের শপিংমল, বাজার এবং পরিষেবা শিল্পকে স্বাভাবিক স্তরে ফিরিয়ে আনা এবং শিল্প, বাজার ও অর্থনীতি এবং সমাজের সঞ্চালনকে মসৃণ করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করা এবং যৌথভাবে আন্তর্জাতিক শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইন সুরক্ষা করাও প্রয়োজন। (স্বর্ণা/আলিম/ফেই)