বন্ধুরা, শুনছিলেন জিন শা'র কন্ঠে 'গরমকালে যখন বাতাস বয়' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে আরেকটি গান শোনাবো। গানের শিরোনাম 'বায়ু'। 'বায়ু' গানের কথাগুলো অনুবাদ করলে অনেকটা এমন দাঁড়াবে: 'আমরা দু'জন একই বায়ুতে বাঁচি। কিন্তু কখনো কখনো শ্বাস নিতে চাই না। আমরা ত্যাগ করে চলে যেতে চাই না। আমি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছি। আমি তোমাকে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি তোমাকে যা দিয়েছি, তা তোমার আশার চেয়ে আরো বেশি। কিন্তু আমি জানি না যে, তুমি আমাকে পছন্দ করো না। তোমাকে ভালোবাসতে অনেক সাহস প্রয়োজন। আমি জানি, আমি কী করতে পারি। আমরা দু'জন একই বায়ুতে থাকতে চাই'।
আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা শুনছিলেন জিন শা'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদের সামনে কন্ঠশিল্পী খান খান'র পরিচয় তুলে ধরবো। খান খান'র আসল নাম চাং সিয়াও চিং। তিনি ১৯৭৯ সালের ১৬ এপ্রিল চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংচৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে তিনি নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এ পর্যন্ত তিনি মোট ৯টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। ২০১৫ সালের ১৭ অগাস্ট এ গানটি প্রকাশিত হয়। প্রথমে শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'দক্ষিণাঞ্চলে শীতকাল' শীর্ষক গান । আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন কন্ঠশিল্পী খান খান'র কন্ঠে 'দক্ষিণাঞ্চলে শীতকাল' শীর্ষক গান। এখন আমি আপনাদেরকে 'পরী পাহাড়ে চাঁদ' নামের গানটি শোনাবো। গানটির কথাগুলো এমন: পানির মতো ঠাণ্ডা রাতে চাঁদ ধীরে ধীরে বন থেকে উঠে যায়। চারণভূমি থেকে শান্ত চাঁদ দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে পোকার ডাক থেমে যায়। আমি একটি বুনো ফুল তুলে মাথায় দেই। উজ্জ্বল চাঁদ দুধের মতো পরিচ্ছন্ন। তরুণ-তরুণীর শরীরে চাঁদের আলো খেলা করে! পরী পাহাড়ে চাঁদ বড় ও গোলাকার। আরো সুন্দর ও সাদা। অসীম পথে আমার দুঃখ অনেক। প্রাণবন্ত মে মাসে তারা পুনরায় ফিরে দেখে চাঁদ। তারা আগের মতো হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে গরম বাতাস উপভোগ করে। উজ্জ্বল চাঁদের আলো অশ্রুর মতো। পরী পাহাড়ে চাঁদ তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসে। অসংখ্য মেঘ ও কুয়াশা দেখে আমি নিজের জন্মস্থানের কথা ভাবি।
আচ্ছা, বন্ধুরা এখন চলুন আমরা গানটি শুনি।
বন্ধুরা, শুনছিলেন কন্ঠশিল্পী খান খান'র কন্ঠে কয়েকটি গান। এখন আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী জিন স্যিয়াও ফেং'র কন্ঠে 'যখন গান গাইতে চাই তখন গান করি' শীর্ষক গান। তিনি চীনের দাই জাতির মানুষ। তিনি ১৯৫৮ সালের অক্টোবরে দ্যেহং বান্নারের মাং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইউয়ুননান প্রদেশের দ্যেহং তাই জাতি ও জিংফৌ জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নারের লোকসংগীত ও নাচ গ্রুপের উপপ্রধান। এখন তিনি হলেন চীনা সংগীত একাডেমির অনুমোদিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকাল শিক্ষক। 'যখন গান গাইতে চাই তখন গান করি' শীর্ষক গান হলো চীনা চুয়াং জাতির লোকসংগীত। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন জিন স্যিয়াও ফেং'র কন্ঠে 'যখন গান গাইতে চাই তখন গান করি' শীর্ষক গান। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী লেই জিয়া'র কন্ঠে 'জন্মস্থানের অনুভূতি' শীর্ষক গান শোনাবো। তিনি হুনান প্রদেশের ই ইয়াংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি হলেন চীনা গণমুক্তি ফৌজের সংস্কৃতি ও শিল্প গ্রুপের সংগীতজ্ঞ, জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেত্রী, চীনা জাতীয় যুব ফেডারেশনের সদস্য, চীনা সংগীতজ্ঞ সমিতির সদস্য এবং চীনের ১৯তম গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি। তিনি চীনের 'গোল্ডন বেল অ্যাওয়ার্ডজ'-এর স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। ২০০৮ সালে তাঁর কন্ঠে 'চীনের ৫৬টি জাতির গান' শীর্ষক অ্যালবাম জাতীয় উপহার হিসেবে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের নেতা ও রাষ্ট্রদূতকে দেয়া হয়। 'জন্মস্থানের অনুভূতি' শীর্ষক গানটি লেই জিয়া ২০১৫ সালে প্রথমে সিসিটিভির অনুষ্ঠানে গেয়েছেন। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান।(ছাই/আলিম/ফেই)