'এক্সট্র্যাকশন' নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হিসেবে রেকর্ড গড়তে চলেছে। ২৪ এপ্রিল অনলাইনে মুক্তি পাওয়া ছবিটি প্রথম চার সপ্তাহে ৯ কোটিবার দেখা হতে পারে। বাংলাদেশ-সংক্রান্ত কিছু অবাস্তব বিষয় তুলে ধরায় এরই মধ্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে সিনেমাটি।
প্রথমে একসঙ্গে জানবো, এ চলচ্চিত্রে কেমন কাহিনী তুলে ধরা হয়?
গল্পে দেখা যায়, বাংলাদেশি একজন মাদকব্যবসায়ী ডন ভারতের এক ডনের সন্তানকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। বাংলাদেশি ডনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় অভিনেতা পিয়ানসু পেইনিউলি। আর ভারতীয় ডনের ভূমিকা নিয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাথি।
নিজের সহযোগীর মাধ্যমে ভারতীয় ডন তার সন্তানকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেন। ওই সহযোগী হলেন রনদিপ হুদা, যার চরিত্রের নাম সাজু। তিনি আবার ক্রিস হেমসওয়ার্থকে ভাড়া করে আনেন এই উদ্যোগ সফল করার জন্য। পুরো কাজটি করতে ভারতীয় ডন প্রচুর টাকা খরচ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু জেলে বন্দি বলে সব দায়িত্ব পড়ে তার সহযোগীর উপর।
ক্রিস হেমসওয়ার্থের চরিত্রটির নাম থাকে টেইলার। যে নিজেকে একজন স্বেচ্ছাসেবী বলে পরিচয় দেন, যিনি আগে ছিলেন স্পেশাল এয়ার সার্ভিস রেজিমেন্টের সদস্য। তার একটি ছয় বছর বয়সী সন্তান ছিলো যে লিমফোমায় মারা গেছে। ফলে পুরো চলচ্চিত্রে অপহরণের শিকার হওয়া ভারতীয় ডনের সন্তানের প্রতি টেইলারের এক ধরনের মায়া দেখা যায়। অভিযান পরিচালনা করতে বাংলাদেশে আসেন টেইলার। আলাদাভাবে আসেন সাজুও, যিনি সাবেক একজন প্যারা কমান্ডো। বাংলাদেশের দৃশ্যসমূহের মধ্যে সদরঘাটের দৃশ্য দেখানো হয়। ঢাকার ব্যস্ত সড় দেখানো হয়। এ ছাড়া ঢাকার ডনদের সাথে টেইলারের মারামারির সময় রাস্তাঘাট, প্রচুর লোকজনকে দেখানো হয়। সিএনজি, ঢাকার বাসও দেখানো হয়।
চলচ্চিত্রের বিষয় থেকে বলা যায়,'এক্সট্র্যাকশন' নামে এ চলচ্চিত্র হলিউডের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি চলচ্চিত্র। আবারো এতে হলিউডের প্রচলিত ব্যক্তিগত বীরত্ব ফুটে ওঠে। তবে কেন এ চলচ্চিত্র নিয়ে বাংলাদেশে সমালোচনা হলো? আমরা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে কিছু তথ্য বা মন্তব্য সংগ্রহ করেছি। এখন সে সব দেখা যাক।
মূল সমালোচনা তৈরি হয়েছে ঢাকার ডনের সাথে বাংলাদেশের পুলিশের সংযোগের বিষয়টি নিয়ে। বাংলাদেশি দর্শকরা দাবি করছেন, এই চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের একজন কর্নেলকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খুবই নেতিবাচক। এ ছাড়া দৃশ্যত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীকে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে। গল্পে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ মাদক ব্যবসার জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক একটা জায়গা। এ ছাড়া শিশুদের গোলাগুলি, অশ্রাব্য কথাবার্তাও এই ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে।