বন্ধুরা, প্রথমে আপনাদের পাঠের অর্থ জানিয়ে দিচ্ছি। এই পাঠ হলো, বন্ধু সিয়ে চোং শু বা সিয়ে ওয়েকে লেখা চীনের নান রাজবংশের সাহিত্যিক থাও হোং চিংয়ের একটি চিঠি। থাও হোং চিং চীনের বিখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি একজন কিংবদন্তি লেখক! তাঁর জীবনে তিনি সোং, ছি ও লিয়াং ৩টি রাজবংশ পেয়েছেন। তিনি ৯ বছর বয়স থেকে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন এবং মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর লেখার জন্য চীনে বিখ্যাত হন। সাহিত্যের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তার অনেক প্রতিভা দেখা যায়। সাহিত্য, চিকিত্সা, ওষুধ, জ্যোতির্বিদ্যা, ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, ভূগোল, সামরিক, তাও ধর্ম সম্পর্কে তিনি প্রায় ৮০টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে তার সাহিত্য, চিকিত্সা ও ওষুধ গবেষণা ভবিষত্যে বড় প্রভাব ফেলে। তিনি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পদত্যাগ করেন ও অবসর নেন। এরপর তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে থাও হোং চিং পাহাড়ে জীবনযাপন করেন, গবেষণা করেন এবং চীনের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। এ কারণে তার প্রবন্ধে অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্পর্কে জানা যায়।
এই পাঠে চীনের ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ নিম্ন অববাহিকার সুন্দর দৃশ্যের কথা বলেছেন থাও হোং চিং। এ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে তার বন্ধু সিয়ে ওয়েকে লেখা একটি ছোট প্রবন্ধ এটি।
প্রবন্ধের ভাবানুবাদ অনেকটা এমন:
প্রাচীনকাল থেকেই পাহাড় ও নদীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন সাহিত্যিক ও পণ্ডিতগণ। উঁচু পাহাড়ের শিখর যেন মেঘে ঢাকা, নিচ দিয়ে প্রবাহিত স্বচ্ছ ঝরনাধারা, দু'তীরে রঙিন পাথর, সবুজ বনানী চারটি ঋতুতে একই রকম সুন্দর। যখন ভোরের কুয়াশা মিলিয়ে যায়, তখন পাখি ও বানরের শব্দ শোনা যায়। আর সূর্যাস্তের সময় নদীর পানিতে খেলা করে মাছের ঝাঁক। এটি সত্যি যেন পৃথিবীর ওয়ান্ডারল্যান্ড! নান রাজবংশের সিয়ে লিং ইয়ুর পর কেউ এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখে নি!
বন্ধুরা, এই পাঠের প্রধান শব্দগুলো হলো:
山川 shān chuān পাহাড় 河流 hé liú নদী 孟加拉国有很多河流 mèng jiā lā guó yǒu hěn duō hé liú বাংলাদেশে অনেক নদী আছে।
风景 fēng jǐng দৃশ্য 美景 měi jǐng সুন্দর দৃশ্য欣赏美景 xīng shǎng měi jǐng সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা
日出 rì chū সূর্যোদয় 日落rì luò সূর্যাস্ত 看~ kàn সূর্যোদয়/ সূর্যাস্ত দেখা 什么时候日出/日落?shěn me shí hou rì chū/rì luò ma তুমি সূর্যোদয়/ সূর্যাস্ত দেখতে চাও?
确实 què shí সত্যি 那里的景色确实很美 nà lǐde jǐng sè què shí hěn měi সেখানকার দৃশ্য সত্যি অনেক সুন্দর।