যাদুঘরটি বন্ধ থাকলেও সুরক্ষা ও দৈনিক পরিদর্শন কাজ এখনও যথারীতি একই রকম আছে। দৈনিক পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বাদ দেওয়া যায় না এবং যাদুঘরের প্রতিটি কোণ পরিদর্শন করা উচিত। ফাং ছিন বর্ণনা করেন, এখানে ২৪ ঘণ্টা তার চোখ খোলা ছিল। প্রতি রাতে, তিনি প্রহরী কক্ষে ফিরে আসেন এবং সেদিন কী কী ঘটনা ঘটে তা লিপিবদ্ধ করেন।
যাদুঘরে থাকার দিনগুলোতে, ফাং ছিন তার দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ডোরম্যান হিসাবেও কাজ করেছিলেন। ধীরে ধীরে মহামারীর অবস্থা ভালো হতে থাকে। লোকজন যাদুঘরে এসে জিজ্ঞাসা করে, কখন জাদুঘরটি খুলবে। ২২ মার্চ, ৬০দিন বন্ধ থাকার পর "বসন্তে উহান" নামে সরাসরি সম্প্রচার কার্যক্রম হুপেই প্রাদেশিক যাদুঘরে পরিচালিত হয়। যাদুঘরের পরিচালক ফাং ছিনও দর্শকদের সাথে এ প্রদর্শনী হলে প্রবেশ করেন। প্রথম সরাসরি সম্প্রচারটি ৭.৯ মিলিয়নেরও বেশি লোক দেখে। নেটিজেনদের যাদুঘর দেখার উত্সাহ যেন আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়।
পরিচালক ফাং আরও একটি কাজ করেছিলেন, তিনি ইতালীয় যাদুঘরগুলোতে মাস্ক দান করেছিলেন। চিঠিতে তিনি প্রতিটি দাতার নাম লিখেছিলেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের ছুটির আগে, ফাং ছিনের যাদুঘরের বসবাসের সময় হয় ১০০ দিনেরও বেশি। এরপর উহানের জীবন ভালো হয়ে ওঠে, তিনি ঘরে যেতে পারেন।
এ অভিজ্ঞতার কথা মনে করে ফাং ছিন বলেন, "কথাটি হলো, শীতকাল চলে যাবে এবং বসন্ত অবশ্যই আসবে। আমি আমাদের যাদুঘর ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখি। আমরা যাদুঘর চালুর দিনটিকে স্বাগত জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেবো।