১৭ বছর বয়সে লুও লিন উচ্চ বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ না করেই নেইচিয়াং শহরের একটি পানশালায় কিবোর্ড শিখতে শুরু করেন।
দুই বছর পর তাও লাং ছেং তুং, ছুং ছিং, তিব্বত ও সি আন শহরে ঘুরে ঘুরে গান গেয়েছেন। পরে তিনি স্কাল্পেল্ নামের একটি সঙ্গীত ব্যান্ড গঠন করেন।
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাও লাং চীনের হাই নানে গান গেয়েছেন। তিনি স্থানীয় কয়েকজন কন্ঠশিল্পীর সঙ্গে 'পৃথিবীর সন্তান' নামের একটি ব্যান্ডও গঠন করেছিলেন। তবে পরে আয় খুব কম বলে এই ব্যান্ড ভেঙে যায়।
হাই নানে তাও লাং চীনের সিনচিয়াং-এর একটি মেয়ে সিয়াও জু-এর সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর ১৯৯৫ সালে তাও লাং সিয়াও জু-এর সঙ্গে সিনচিয়াং-এ গিয়ে উত্তর-পশ্চিম মিউজিক স্টুডিও গঠন করে সিনচিয়াং-এর বৈশিষ্ট্যময় সঙ্গীত রচনা শুরু করেন।
১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত, তাও লাং সিনচিয়াং-এর দ্যওয়েইলুং মিউজিক কোম্পানীর প্রযোজক হিসেবে সিনচিয়াং-এর বৈশিষ্ট্যময় অনেক অ্যালবাম তৈরি করেন।
২০০১ সালে তাও লাং নিজের প্রথম অ্যালবাম বিক্রি করেন। তবে তা শুধু বিক্রি হয়েছে ২ হাজার কপি। ব্যর্থতার পর তিনি নিজের সঙ্গীত-জ্ঞান সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন এবং লেখাপড়া করেন।
২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি, তাও লাং-এর অ্যালবাম '২০০২ সালের প্রথম তুষার' বাজারে আসে। এই অ্যালবামের গান 'প্রেমিকা', '২০০২ সালের প্রথম তুষার' সারা দেশে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০০৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাঁর আরেকটি অ্যালবাম 'কাশির গাছ' রিলিজ হয়।
২০০৬ সালে তাও লাং অ্যালবাম 'তোমাকে ধন্যবাদ' এবং 'মেষচর্ম পড়া নেকড়ে' প্রকাশিত হয়।
২০০৭ সালে তাঁর অ্যালবাম 'তাও লাং-এর তৃতীয় অ্যালবাম' রিলিজ হয়। তিনি দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা কার্যক্রমও আয়োজন করেন, ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন।
২০০৭ সালের ১৮ মে, তাও লাং সিনচিয়াং-এর উরুমুচি শহরে 'তাও লাং-এর বিশ্ব ট্যুর কনসার্ট' আয়োজন করেন।
২০০৮ সালে তাও লাং 'লাল লেজেন্ড' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
২০১১ সালের ২০ জুন, তাও লাং চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ৯০তম বার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাও লাং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)