চাং কুও রুং-এর আসল নাম চাং ফা জুং। পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট। তাঁর বাবা হলেন হংকংয়ের একটি কাপড় দোকানের দর্জি ও মালিক। হলিউডের অনেক বিখ্যাত অভিনেতাও তাঁর বাবার কাপড় দোকানের ক্রেতা।
১৯৬৯ সালে চাং কুও রুং নিজেই ব্রিটেনে গিয়ে লেখাপড়া করছেন। মাধ্যমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি কাপড়ের ডিজাইন করতে খুব পছন্দ করতেন। এ কারণে চাং কুও রুং ব্রিটেনের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্রবয়ন বিভাগে ভর্তি হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে চাং কুও রুং-এর বাবা হঠাত্ রোগের কারণে অচল হয়ে পড়েন। তাই চাং কুও রুং লেখাপড়া বন্ধ করে হংকং ফিরে আসেন।
১৯৭৭ সালে চাং কুও রুং আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতের জগতে পা রাখেন। ১৯৮৩ সালে চাং কুও রুং 'বাতাস বয়ে থাকে' গানটি গেয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
১৯৮৪ সালে চাং কুও রুং 'মোনিকা' শীর্ষক গানটি গেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই গান হংকংয়ের 'টপ টেন চায়নিস গোল্ড সংস অ্যাওয়ার্ডস' এবং 'জেইড সলিড অ্যাওয়ার্ডস প্রেসেন্টেশন' পুরস্কার পাওয়া প্রথম গান।
১৯৮৬ এবং ১৯৮৭ সালে চাং কুও রুং আবার 'জেইড সলিড অ্যাওয়ার্ডস প্রেসেন্টেশন' পুরস্কার জিতে নেন। এরপর তিনি 'The Greatest Hits of Leslie Cheung' গানটি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গীত মহলে প্রবেশ করা প্রথম ক্যান্টোনিস ভাষার কন্ঠশিল্পী হন। তাঁর অ্যালবাম দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা ভাষা অ্যালবাম বিক্রির নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি করে।
১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ সালে চাং কুও রুং 'জেইড সলিড অ্যাওয়ার্ডস প্রেসেন্টেশন'-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরুষ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৯ সালে চাং কুও রুং হংকংয়ের সঙ্গীত মহলের শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার 'দি গোল্ডেন নিডল অ্যাওয়ার্ড' জিতে নেন।
২০০০ সালে চাং কুও রং সিসিটিভি-এমটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিল্পীর পুরস্কার পান।
২০১০ সালে চাং কুও রুং যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএনের নির্বাচিত '৫০ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ২০ জন কন্ঠশিল্পী ও ব্যান্ডের' তালিকায় স্থান পান।
২০১০ সালে সিএনএনের নির্বাচিত 'ইতিহাসের সবচেয়ে মহান ২৫ জন এশীয় অভিনেতা'র তালিকায়ও চাং কুও রুংও স্থান পান।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং কুও রুং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)