চীনের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ৪টি মিথ্যাচার উন্মোচন করেছে সিআরআই সম্পাদকীয়
  2020-04-27 14:55:42  cri
এপ্রিল ২৭: মার্কিন হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য ও উৎপাদনশিল্প-বিষয়ক প্রধান পিটার নাভারো সম্প্রতি কোভিড-১৯ ইস্যুতে তৈরি ৪টি মিথ্যাচার করেছেন। তার স্বরূপ উন্মোচন করেছে সি আর আই সম্পাদকীয়। নিজেদের অবহেলা ঢাকার জন্য অন্য দেশের ওপর দোষারোপের চেষ্টা করছে মার্কিন প্রশাসন।

প্রথম মিথ্যাচারটি হচ্ছে, ভাইরাসে উৎস চীনের সঙ্গে যুক্ত করা। ভাইরাসটি ল্যাবে তৈরির মিথ্যাচার দিয়ে চীনের ওপর দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়। মূলত, ভাইরাসের উৎস বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এখনো সে গবেষণা করা হয়নি। তাহলে কোন প্রমাণের ভিত্তিতে এসব মন্তব্য করা হলো?

দ্বিতীয় মিথ্যাচারটি হচ্ছে চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশ্রয়ে ভাইরাস লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। আসলে চীন গত ৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অবস্থা জানাতে শুরু করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দুই মাস সময় নষ্ট করেছে এবং ভাইরাস প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো সময় হারিয়েছে।

তৃতীয় মিথ্যাচারটি হচ্ছে বর্ণবাদী সহিংসতা সৃষ্টি করা। ভাইরাসের কোনও রাষ্ট্রীয় সীমানা নেই। কিন্তু কিছু মানুষ এ সুযোগে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহিংসতা তৈরি করছে। চীনের লকডাউন ব্যবস্থা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছে।

চতুর্থ মিথ্যা অভিযোগটি হলো, চীন মাস্কসহ প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহে রেখে অর্থ উপার্জন করছে। আসলে ঘটনা একেবারে বিপরীত! চীন বিভিন্ন দেশকে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বা বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছে। চীনের শুল্ক বিভাগের অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১ মার্চ ও ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রকে চীন ১৯৬.৪ কোটি মাস্ক, ২৫.৮ কোটি গ্লাভস, ২৯২.৯ লাখ প্রটেকভিট পোশাক, ৩১.৩ লাখ চশমা এবং ৪৪১০টি ভেন্টিলেটর দিয়েছে। সাহায্য পাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের এমন মিথ্যাচার মানুষের চিন্তারও বাইরে!

তা ছাড়া, এমন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সমাজকে কোনও বাস্তব সহায়তা না করে অন্য দেশের মাস্ক চুরি করেছে এবং নিজের মাস্ক কোম্পানিকে বিদেশে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে নয় লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত। মার্কিন সরকারের উচিত চীনের ওপর দোষারোপ না করে সমস্যা মোকাবিলা করা এবং নিজ দেশের জনগণকে রক্ষা করা।

(স্বর্ণা/তৌহিদ/ছাই)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040