মহামারীর মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার করা উচিত। কিন্তু কোনো কোনো পশ্চিমা রাজনীতিজ্ঞ নিজ দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন থেকে সরে যাওয়ার উস্কানি দিয়ে আসছে।
জার্মানির গাড়ির বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির উত্পাদন ও গবেষণা সওয়োবোদা কম্পানি ২০১১ সালে চীনের সিয়াংসু প্রদেশের খুনশান শহরে শাখা কম্পানি খোলে। প্রথমে তারা ২ কোটি মার্কিন ডলার পুঁজি বিনিয়োগ করে। তারা চীনের ওপর খুব আস্থাবান। আরও ২০০ কোটি রেনমিনপি পুঁজি বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
জার্মানির বিবিএস কম্পানি চীনে তাদের সদর দপ্তর খুনশান শহরে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করছে। তারা চীনের বাজারের ভবিষ্যত নিয়ে খুব আশাবাদী। তাই আরও বেশি পুঁজি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
গত মার্চ মাসে স্টারবাক্স খুনশান শহরে ৯০ রেনমিনপির পুঁজি বিনিয়োগ করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোন দেশে সবচেয়ে বড় কফি কারখানা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে।
খুনশান শহর গত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৯৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি পুঁজি আকর্ষণ করেছে।
সম্প্রতি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের অর্থনীতির ওপর একটু নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কম্পানিগুলো চীনের ওপরে আস্থা রাখার কারণে কোনো বড় ধরনের পুঁজি সরিয়ে নেয়নি। (স্বর্ণা/আলিম/ছাই)