১৯৮২ সালে ওয়াং লি হুং বেহালা শিখতে শুরু করেন। তিনি প্রতিদিন ৬ ঘন্টা ধরে বেহালা চর্চা করেন। ১৯৮৪ সালে ওয়াং লি হুং পিয়ানো বাজানো শিখতে শুরু করেন।
১৯৮৯ সালে ১৩ বছর বয়সী ওয়াং লি হুং নিজের প্রথম গান রচনা করেন।
১৯৯৫ সালে চীনের তাইওয়ান প্রদেশে আত্মীয়স্বজনদের দেখতে ফিরে যান ওয়াং লি হুং। এবার যাত্রায় ওয়াং লি হুং-এর চাচা তাঁর মিউজিক ভিডিও দেখার পর ওয়াং লি হুংকে তাইওয়ানের বিখ্যাত গীতিকার লি সৌ ছুয়ানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন থেকে তাইওয়ানে ওয়াং লি হুং-এর সঙ্গীতযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
১৯৯৫ সালে ওয়াং লি হুং আনুষ্ঠানিকভাবে 'লিনফেয়ার রেকর্ডসের' সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং নিজের প্রথম অ্যালবাম 'ভালোবাসার শত্রু বিটোফেন' প্রকাশ করেন। এই অ্যালবাম প্রকাশের পর সঙ্গীত কোম্পানী ওয়াং লি হুংকে নিজেই গান রচনা করার অনুরোধ জানায়।
১৯৯৬ সালের অগাস্ট মাসে ওয়াং লি হুং-এর অ্যালবাম 'যদি তুমি আমার গান শুনে থাকো' রিলিজ হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাঁর নিজের রচিত ছয়টি গান।
১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়াং লি হুং-এর অ্যালবাম 'তোমাকে খুব মিস করি' বাজারে আসে। তিনি ১৯৯৭ সালে 'সাদা কাগজ' নামে আরেকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে ওয়াং লি হুং-এর স্বরচিত গান 'প্রতি সেকেন্ড তোমাকে দেখতে চাই'-সহ ৫টি প্রেমের গান।
২০০৬ সালে ওয়াং লি হুং 'মহান বীর' নামের অ্যালবাম নিয়ে ১৭তম তাইওয়ানের গোল্ডেন ম্যালোডি আওয়ার্ডসের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষা গানের পুরুষ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন।
২০১০ সালে ওয়াং লি হুং নিজের পরিচালিত ভালোবাসার চলচ্চিত্র 'ভালোবাসার বিজ্ঞপ্তি' রিলিজ হয়।
২০১৮ সালে ওয়াং লি হুং প্রেমের চলচ্চিত্র 'Forever Young'-এ অভিনয় করেন।
সঙ্গীত ছাড়া ওয়াং লি হুং ২০০২ সালে জাতিসংঘের শিশু তহবিলের আন্তর্জাতিক 'যুব দূত' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ওয়াং লি হুং তাইওয়ান প্রদেশের তাইপেই শহরের পরিবেশ সুরক্ষা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া, তিনি বেইজিং অলিম্পিক গেমস এবং লণ্ডন অলিম্পিক গেমসের মশালধারী হিসেবেও নির্বাচিত হন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ওয়াং লি হুং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)