এতে বলা হয়, সময়ের পরিবর্তনে বোঝা যায়, গত জানুয়ারির শেষ দিক থেকে কোভিড-১৯ রোগে গুরুতর এলাকা উহান সময়মতো লকডাউন করা হয়। মোট ৭৬ দিন এ অবস্থা ছিল। উহানের আয়তন প্রায় ৮০টি প্যারিস নগরীর সমান। উহান ছাড়াও চীনের অন্যান্য অঞ্চল লকডাউন হয়েছিল। মার্চ মাসের শেষ দিকে ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে।
চীন পুনরায় শিল্প উত্পাদন ও কাজ শুরু করছে এবং জনগণের জীবন প্রয়োজন নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি, প্রতিরোধমূলক সামগ্রীর উত্পাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। তবে অন্যান্য শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেমন, ক্যাটারিং শিল্পের প্রথম তিন মাসে আয় ছিলো ৬০২.৬ বিলিয়ন ইউয়ান। যা গত বছরের চেয়ে ৪৪.৩ শতাংশ কম। খুচরা পণ্য বিক্রি হয় ৭.২৫৫৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫.৮ শতাংশ কম।
কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন মহামারী প্রতিরোধের জন্য সর্বাধিক বিস্তৃত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে চীনে উত্পাদন ও কাজ দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। মার্চ মাসের শেষ দিকে ৯৯ শতাংশ চীনা প্রতিষ্ঠান পুনরায় উত্পাদন শুরু করে।
বিশ্ববিখ্যাত বিনিয়োগ ব্যাংক মরগ্যান স্ট্যানলি'র সর্বশেষ অনুমান অনুযায়ী, চীনের সবচেয়ে খারাপ সময় শেষ হয়েছে। পরবর্তী তিন মাসে চীনের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির হার ১.৫ শতাংশ হবে।
আইএমএফের ধারণা অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারি শেষ হলে ২০২১ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৯.২ শতাংশ।
(ছাই/তৌহিদ/ওয়াং হাইমান)