এপ্রিল ৮ : চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। ওয়াং ই জানান, মহামারী পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দেবে চীন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিভিন্ন তথ্য ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিময় করবে ও দেশে চিকিৎসকদল পাঠাবে বেইজিং।
ওয়াং ই জানান, চীন বরাবরই দক্ষিণ এশিয়ায় মহামারী পরিস্থিতিতে নজর রাখছে। চীন বাংলাদেশকে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিরোধ জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে। যাতে মহামারী ছড়িয়ে পড়লে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা নেওয়া যায়। একটি দায়িত্বশীল বড় দেশ হিসেবে, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে চীন, হাতে হাত রেখে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাবে, আন্তর্জাতিক শিল্পখাতে সহযোগিতা বজায় রাখবে এবং অঞ্চল ও বিশ্বের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণে গুরুত্ব দেবে।
ওয়াং ই বলেন, চীন বিশ্বাস করে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অবশ্যই কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবে। মহামারী প্রতিরোধের প্রক্রিয়ায় চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব উন্নত হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার অব্যাহতভাবে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী চীনাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য দেবে ও যত্ন নেবে এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করবে বলে আশা করে চীন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, বাংলাদেশ মনে করে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য একটি রোল মডেল। চীন সময়মত সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশ ধন্যবাদ জানায়। মাস্ক, ভেন্টিলেটরসহ মহামারী প্রতিরোধক সামগ্রী দিয়ে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন। এ কঠিন সময় বাংলাদেশকে মূল্যবান সহায়তা দিয়ে চীন আবারও প্রমাণ করেছে যে, চীন হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থাবান বন্ধু ও অংশীদার।
দু'পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করেছে। দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করে বাংলাদেশ। চীন অব্যাহতভাবে মধ্যস্থতা করবে বলে আশা করে চীন।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)