কোভিড-১৯ প্রতিরোধের নানা কার্যক্রমের নির্দেশনা দিয়েছিলেন চীনের শীর্ষনেতা
  2020-04-08 16:32:20  cri
এপ্রিল ৮ : কোভিড-১৯ হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ গতিতে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে কঠিন একটি গণস্বাস্থ্য দুর্যোগ। এটি মোকাবিলায় চীন সার্বিক ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে এতে ব্যাপক প্রাণহানিও হয়। গোটা চীনের মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে, উত্পাদন ও জীবনযাত্রা সুশৃঙ্খল হতে শুরু করেছে। চীনের শীর্ষনেতা কোভিড-১৯ প্রতিরোধের যেসব কার্যক্রমের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা তুলে ধরা হলো।

৭ জানুয়ারি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী সদস্যের অধিবেশনে কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজ জোরদারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

২০ জানুয়ারি সি চিন পিং মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

২২ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে ফোনালাপে সহযোগিতা জোরদারের দাবি জানান।

২৫ জানুয়ারি চীনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উত্সবের প্রথম দিন সি চিন পিং হুপেইসহ গুরুতর আক্রান্ত অঞ্চলে পরিচালনাদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

২৮ জানুয়ারি বেইজিংয়ে সি চিন পিং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গণস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন সি চিন পিং।

৫ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

৭ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, চীন সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।

১০ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সি চিন পিং। এ সময় তিনি কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার নির্দেশ দেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

২০ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিল গেটস তহবিলের চেয়ারম্যানকে চিঠির জবাব দেন।

২১ ফেব্রুয়ারি সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর অধিবেশনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অধিবেশনে সি চিন পিং উন্মুক্তকরণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের নির্দেশ দেন।

২৫ ফেব্রুয়ারি সি চিন পিং আরব আমিরাতের আবুধাবির যুবরাজ ও ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

২৭ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ে সি চিন পিং সফররত মঙ্গোলীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন।

২ মার্চ কোভিড-১৯ প্রতিরোধসংশ্লিষ্ট গবেষণাকাজ পরিদর্শন করেন সি চিন পিং।

১০ মার্চ সি চিন পিং কোভিড-১৯ প্রতিরোধকাজ পরিদর্শন করতে হুপেই প্রদেশের উহানে যান।

১২ মার্চ সি চিন পিং জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। তিনি চীনা মানুষের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য সুযোগ সৃষ্টি ও সময় সাশ্রয় হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

১৭ মার্চ সি চিন পিং বেইজিং সফররত পাক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় সি চিন পিং বলেন, বিভিন্ন দেশের উচিত একই নৌকায় করে হাতে হাত রেখে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা।

১৯ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সি চিন পিং। সি বলেন, চীন রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠন করা উচিত।

২১ মার্চ সি চিন পিং স্পেন, সার্বিয়া, জার্মান ও ফ্রান্সের শীর্ষনেতাদের কাছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সমবেদনা বার্তা পাঠান।

২৬ মার্চ বেইজিংয়ে জি টোয়েন্টির শীর্ষসম্মেলনে 'কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে কঠিনতা কাঠিয়ে ওঠা' শিরোনামে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন সি চিন পিং।

২৯ মার্চ চ্যচিয়াং প্রদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজ পরিদর্শন করেন সি চিন পিং।

(রুবি/তৌহিদ/শিশির)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040