সম্প্রতি, প্রবাসী চীনা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ মূলত বিমানের অভাব। এ প্রসঙ্গে চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রশাসনের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড বিভাগের উপ-মহাপরিচালক হানকুয়াংজু সম্মেলনে বলেন, প্রবাসী চীনা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে অস্থায়ী ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"গত ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইরান, ইতালি ও ব্রিটেন থেকে ১৮২৭ জন চীনা নাগরিককে দেশে ফিরতে সহায়তা করার জন্য মোট ১১টি অস্থায়ী ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে সিভিল এভিয়েশন। এর মধ্যে ইরান থেকে ৬টি অস্থায়ী ফ্লাইটের মাধ্যমে ৯৭৬ জন চীনা নাগরিক, ইতালি থেকে ৪টি অস্থায়ী ফ্লাইটের মাধ্যমে ৬৭০ জন চীনা নাগরিক এবং ব্রিটেন থেকে একটি অস্থায়ী ফ্লাইটের মাধ্যমে ১৮১ জন চীনা নাগরিক দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরতদের অধিকাংশই ছিল শিক্ষার্থী।"
জাতীয় অভিবাসন প্রশাসনের সীমান্ত চেকআপ ও পরিচালনা বিভাগের পরিচালক লিউ হাইথাও বলেন, বর্তমানে চীনে দেশীয় মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের অবস্থার উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, তবে বিদেশ থেকে আসাদের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের ৯৫০ জনেরও বেশি লোক শনাক্ত হয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা রোগীদের সামলানো বর্তমানে এই ভাইরাস ঠেকানোর উল্লেখযোগ্য বিষয়। তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কঠোর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অপ্রয়োজনীয় প্রবেশ এড়ানো হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন "প্রথম কাজ হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় দেশের কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। এ জন্য খুব প্রয়োজন ছাড়া, বিদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীবাহী যান চলাচল স্থগিত রাখতে হবে এবং বিদেশি পর্যটকদের চীনে প্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে। আগে বন্ধ হওয়া সীমান্ত বন্দরগুলো বন্ধ থাকবে। বিদেশ থেকে জরুরি প্রয়োজনে যেসব বিদেশি আসবেন, তাদের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হলে, তাদের চীনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।"
চীনের শুল্ক সাধারণ প্রশাসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বিভাগের উপ-মহাপরিচালক সুং ইয়্যুছিয়ান বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শুল্ক প্রশাসনের বিধিবিধান মেনে চলছে এবং সততার সাথে নিজেদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাচ্ছে। তবে, এমন কেউ কেউ আছেন যারা নিজ নিজ স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা লুকিয়েছেন বা লুকাতে চান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন "উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি শুল্ক বিভাগের ৬টি মামলার মধ্যে এমন অবস্থা হয়েছে যে, কেউ দেশে ফিরে আসার ১৪ দিন আগে বিদেশে এই ভাইরাস কবলিত অঞ্চলে বসবাস করেছেন, কিন্তু দেশে ফিরে আসার সময় সঠিকভাবে শুল্ক বিভাগের কাছে তা জানাননি। কেউ ফ্লাইটে জ্বরের ওষুধ খেয়েছেন, এবং দেশে ফিরে শুল্ক বিভাগকে কিছুই বলেননি। এই ধরণের আচরণ আইন লঙ্ঘনের আচরণ; আইনানুসারে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন অপরাধে ৩০ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর অপরাধ আরও গুরুতর হলে বিচার বিভাগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্থানান্তর করা হতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে শাস্তির ক্ষেত্র আরও বাড়াতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে অবিশ্বস্ত যাত্রীদের "ব্ল্যাকলিস্ট" করা। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)