সম্প্রতি মার্কিন ভাইরাস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সিএনএনের 'যুক্তরাষ্ট্র ভাইরাস প্রতিরোধে কেন এতো অকার্যকর?'—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'যদি চীনের দেওয়া তথ্য আরো সার্বিক হতো, তাহলে আমাদের অবস্থা আরো ভালো হতো।'
তাহলে চীন কি ভাইরাসসম্পর্কিত তথ্য লুকিয়েছে? বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য জরুরি প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান এমন অভিযোগ খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের কিছু জায়গায় মহামারী ঠেকানোর ব্যর্থতাকে অসচ্ছতার ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না।
এর আগে চীনের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীনে নিযুক্ত প্রতিনিধি গাউডেন গালি বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর, চীনের উ হান হুয়া নান সীফুড মার্কেট বন্ধের আগের দিন রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন কার্যালয় চীনের নোটিশ পায়। পয়লা জানুয়ারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় এবং জেনিভা সদর দপ্তরের সম্মেলন আয়োজিত হয়। ৩ জানুয়ারি, ভাইরাস মোকাবিলার গ্রুপ গঠিত হয়। ২০ ও ২১ জানুয়ারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চীন কার্যালয়ের কর্মীরা উ হান পরিদর্শন করেন।
গালির প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, চীন সময়মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে ভাইরাসের সর্বশেষ অবস্থার তথ্য শেয়ার করেছে। আর এ কারণেই হু পরবর্তীতে সঠিকভাবে ভাইরাসের অবস্থা বিশ্লেষণ করতে পেরেছে। (শুয়েই/আলিম)