স্থানীয় সময় সোমবার সকাল আটটা ৪০ মিনিটে চীনা দলটির ৭ জন সদস্য চীন সরকারের অনুদান করা চিকিত্সামামগ্রী নিয়ে নমপেন বিমান বন্দরে পৌঁছায়। তাদের সবাই চীনের কুয়াং সি থেকে আসা। কুয়াং সি চুয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ব্যুরোর উপমহাপরিচালক ও দলের নেতা আই সিয়াং বলেন,
'৭ জন চিকিত্সক নিয়ে দলটি গঠিত হয়েছে। এ দল গঠনের শুরুতে আমরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধের প্রয়োজনে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করেছি। তাই আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস, নার্সিং, নোসকোমিনাল সংক্রমণ, গণস্বাস্থ্য, ল্যাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা এবং চীনা ঔষধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ বাছাই করেছি। তারা সবাই দু'মাস ধরে কুয়াং সি অঞ্চলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের কাজ করেছেন। তাদের পর্যাপ্ত সামর্থ্য রয়েছে।'
চীনা বিশেষজ্ঞ দলকে স্বাগত জানায় কম্বোডিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিবর্গ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেন যোগাযোগমাধ্যমে দলটিকে স্বাগত জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। কম্বোডিয়ার জাতীয় টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চীনা চিকিত্সক দলের আসার খবর সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
হুন সেন যোগাযোগমাধ্যমে জানান, চীনা বিশেষজ্ঞরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কম্বোডিয়াকে সাহায্য করতে এসেছেন। দেশটির অনেক নেট-দর্শক সরাসরি অনুষ্ঠানে লাইক দিয়ে বলেন, 'চীন সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ। কম্বোডিয়া-চীন মৈত্রী অবিচ্ছেদ্য; ম্বোডিয়ার কষ্টের সময়ে চীন আমাদের একা ছাড়েনি।'
বিমানবন্দরে বিশেষজ্ঞদের সম্বর্ধনা জানাতে যান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মর্ম বানহেং। তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
"এটি কম্বোডিয়া-চীন মৈত্রীর প্রতিফলন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং'র নেতৃত্বে কম্বোডিয়া ও চীন কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবেই। আমাদের সহযোগিতা ফলপ্রসূ হবেই।"
বিশেষ বিমানে ৮.১ টন এন৯৫ মাস্ক, মেডিকেল সার্জিক্যাল মাস্ক, নিষ্পত্তিযোগ্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটারসহ কিচিত্সাসামগ্রীও পৌঁছায়। কম্বোডিয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ওয়েন থিয়ান বলেন, কম্বোডিয়ায় কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীনা দূতাবাস বরাবরই দেশটির সঙ্গে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। চীনা জনগণও কম্বোডিয়ার জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ প্রতিরোধের কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী হুন সেন জরুরি চীন সফর করেন এবং আমাদের জন্য চিকিত্সাসামগ্রী পাঠান। এখন চীন সরকার কম্বোডিয়ায় চিকিত্সক-দল এবং ব্যাপক পরিমাণে চিকিত্সাসামগ্রী পাঠিয়েছে। এটি পরস্পরের প্রতি সহায়তা এবং চীন-কম্বোডিয়া অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটির প্রতিফলন।'
কার্যক্রম অনুসারে চীনা বিশেষজ্ঞদল কম্বোডিয়ায় থাকাকালে দেশটিকে প্রযুক্তিগত সমর্থন দিয়ে যাবে এবং চীনের কোভিড-১৯ প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করবে। (রুবি/আলিম)