সম্প্রতি চীনের চিকিতসক দল ৩১ টন চিকিত্সাসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছে ত্রাণ সহায়তা কাজ শুরু করে। আমরা এ সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
নভেল করোনাভাইরাস হচ্ছে সাড়া মানবজাতির অভিন্ন শত্রু। এই ভাইরাস চীনের বাইরে সবচেয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে ইতালিতে। তাই ইতালির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। সম্প্রতি চীনা সরকার চিকিত্সক বিশেষজ্ঞ দল ও চিকিত্সা সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে ইতালিতে। পৌঁছানোর দ্বিতীয় দিন, চীনের চিকিত্সা বিশ্বেষজ্ঞ দল ইতালির রেড ক্রস সোসাইটির দফতর পরিদর্শন করে। তারা ইতালির বিশেষজ্ঞদের সাথে মহামারীর পরিস্থিতি ও উন্নয়নের প্রবণতা নিয়ে মত বিনিময় করেন। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে চীনের রেড ক্রস সোসাইটির উপ-প্রধান সুন শুও ফেং সাংবাদিকদের বলেন:
আলিম: "মহামারী প্রতিরোধে চীনের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীকে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে। ইতালির চেয়ে চীনের জনসংখ্যা অনেক বেশি, পরিস্থিতিও ছিল জটিলতর। তারপরও মহামারী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে চীন।"
আকাশ: সফরসূচি অনুযায়ী, চীনের চিকিত্সা বিশেষজ্ঞদল এরপর, ইতালির জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট, ইতালির স্বাস্থ্য গবেষণা ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন সংস্থার দফতর পরিদর্শন করে। পাশাপাশি, দলটি মিলানসহ ইতালির মহামারী আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর ফ্রন্টলাইন হাসপাতাল পরিদর্শন করে। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে জোর দিয়ে জানান, চীনের বিশেষজ্ঞরা চীনের অভিজ্ঞতা বয়ে নিয়ে এসেছেন, যা ইতালির মহামারী প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অমূল্য। চীনের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সুন শুও ফেং এর জবাবে বলেন,
আলিম: "আমাদের ভাইরাস প্রতিরোধক গাইডবুক সাত বার সংশোধন করা হয়েছে। আর ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য নির্ধারিত গাইডবুক ৬ বার সংশোধন করা হয়েছে। ফ্রন্টলাইনের চিকিত্সকদের অভিজ্ঞতার আলোকে এসব গাইডবুক গড়ে উঠেছে। আমরা বিভিন্ন ভাষায় এসব গাইডবুক অনুবাদ করেছি এবং বিশ্বের সবার সঙ্গে তা শেয়ার করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এসব গাইডবুক সু্ষ্ঠুভাবে কাজে লাগালে, ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।"
আকাশ: তিনি মনে করেন, যদি ইতালি সুষ্ঠউভাবে যথাযথ মহামারী প্রতিরোধকসংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা নেয়, তবে অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তিনি বলেন,
আলিম: "মহামারী প্রতিরোধে চীনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে: early discover, early report, early quarantine, early চিকিত্সা দেয়া। আরও আছে: মারাত্মকভাবে অসুস্থ রোগীদেরকে ভালো হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া; হালকা উপসর্গের রোগীদের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া; নিশ্চিত আক্রান্তের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষাকারী স্বজন বন্ধুদের নিজ নিজ বাড়িতে বিচ্ছিন্ন রাখা। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উত্সকে অন্য সকল জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। আমার ধারণা, যদি এসব গাইডলাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়, তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে।"