মার্চ ৩: ১০ মার্চ, চীনের শীর্ষনেতা সি চিন পিং উহান পরিদর্শন করেন এবং মহামারী প্রতিরোধক কাজকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় দিক্-নিদের্শনা দেন। ২ দিন পর, চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে, চীনের এ দফার মহামারীর পিক সময় ইতোমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি চীন ছাড়া বিশের ১২২টি দেশ ও অঞ্চলে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে।
১২ মার্চ সি চিন পিং জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ফোনালাপ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে মহামারী দেখে দিয়েছে। মহামারী প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সমাজ একযোগে ব্যবস্থা জোরদার করে কার্যকর সহযোগিতা চালাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্থানীয় সময় ১২ মার্চ, চীনের চিকিৎসকদল ইতালিতে পৌঁছায়। ভবিষ্যতে চীনের আরও চিকিৎসক দল বিভিন্ন দেশে সহায়তা মিশন পালন করবে।
মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, অল্প সময়ের মধ্যে চীন কঠিন ও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ও নিচ্ছে। "চীনা গতি" বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধের জন্য অমূল্য সময় বাঁচিয়েছে। মহামারীর বিরুদ্ধে লাইন অব ডিফেন্স তৈরি করেছে চীন।
মহামারী দেখা দেওয়ার পর, সি চিন পিং অনেক বার বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করেন। মহামারী প্রতিরোধের ব্যাপারে সি চিন পিং বরাবরই ছিলে আস্থাবান। তিনি চলতি বছরের অর্থনৈতিক লক্ষ্য পূরণেও আস্থাবান।
৩ জানুয়ারি উহানে মহামারী দেখা দেওয়ার পর চীন আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য মহামারীসম্পর্কিত তথ্য ও পরিস্থিতি শেয়ার করে আসছে। নিজ দেশের মহামারী প্রতিরোধের সংগে সংগে, মহামারীকবলিত অন্যান্য দেশের জন্য চীন নিজের সক্ষমতার আওতায় সহায়তা প্রদান করে এবং মহামারী প্রতিরোধক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে।
কোভিড-১৯ মহামারী প্রমাণ করেছে যে, আধুনিক যুগে মানবজাতি হচ্ছে অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত হাতে হাত রেখে ঝুকিঁ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। (আকাশ/আলিম/রুবি)