ছোটবেলা থেকেই সু ইউ ভেং খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয় শিখতে খুব আগ্রহী ছিলেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি শিখতে পারতেন। ছোটবেলা থেকে তিনি ইলেক্ট্রনিক কিবোর্ড বাজানো শিখতে শুরু করেন এবং স্কুলের কোরাস দলে যোগ দেন।
ছোটবেলায সু ইউ ভেং এতো জিনিস শিখেন যে, তার বাবা-মা চিন্তায় পড়ে যেতেন। তারা সু ইউ ভেং-এর জন্য কিছু ক্লাস বাদ দিতে চাইলেন। তবে সু ইউ ভেং এতে রাজি হননি। তিনি নিজে লেখাপড়ায় আগ্রহী এবং শিখতেও চান। স্কুলে তাঁর পরীক্ষার ফলাফল সবসময় স্কুলের শীর্ষ স্থানে থাকতো।
১৯৮৮ সালে সু ইউ ভেং মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক হন। ১৫ বছর বয়সের সু ইউ ভেং স্কুলের শীর্ষ ফলাফল নিয়ে তখন তাইওয়ানের সবচেয়ে ভালো উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির পর সু ইউ ভেং-এর মা মনে করেন, সু ইউ ভেং শুধুই লেখাপড়া করেন, তার কোনো বিনোদনের সময়ও নেই, জীবন খুব বিরক্তিকর। তাই সু ইউ ভেং-এর জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য তার মা তাইওয়ানের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি টিভি বিনোদন অনুষ্ঠানে সু ইউ ভেং-এর জন্য আবেদন জানান।
পরে সু ইউ ভেং এবং ছেং জি ভেং ও উ ছি লুং তিন জনকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই তিন জন নিয়ে একটি ব্যান্ডও গঠিত হয় এবং এর নাম হয় 'লিটল টাইগার টিম'।
শুরু থেকেই 'লিটল টাইগার টিম'–কে দর্শকরা পছন্দ করতো। তাই কোম্পানী তাদের জন্য 'সবুজ আপেল বাগান' নামের একটি গান রচনা করে। এই গান প্রকাশের ৫ সপ্তাহের মধ্যে এটি বিভিন্ন সঙ্গীত তালিকার শীর্ষস্থান দখল করে। একই বছর 'লিটল টাইগার টিম' আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত-মহলে যোগ দেয়।
১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সু ইউ ভেং উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় 'লিটল টাইগার টিম' সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। সে-বছরগুলোতে 'লিটল টাইগার টিম' ৩০টিরও বেশি কনসার্ট আয়োজন করে, একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ে করে এবং ৭টি অ্যালবাম প্রকাশ করে। সেই সময় সু ইউ ভেং দিনে লেখাপড়া করতেন, রাতে গান চর্চা করতেন। এত ব্যস্ত হলেও তিনি শ্রেষ্ঠ ফলাফল নিয়ে তাইওয়ানের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়-তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সু ইউ ভেং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)