ছাং সি লেই একটি সৈনিক-পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার প্রভাবে তিনি ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত-অনুরাগী হয়ে ওঠেন। পাঁচ বছর বয়সে তিনি ইলেক্ট্রনিক কিবোর্ড বাজানো শিখতে শুরু করেন। তারপর নয় বছর বয়সে তিনি পিয়ানো শিখতে শুরু করেন। ছোটবেলায় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে তিনি অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন।
২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে, ছাং সি লেই আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গীত রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তাঁর অংশগ্রহণে রচিত গান 'আমি ও তুমি' বেইজিং অলিম্পিক গেমসের থিম সং হিসেবে নির্বাচিত হয়।
এরপর ছাং সি লেই প্রশিক্ষক হিসেবে থিম সং-এর কন্ঠশিল্পী নির্বাচন করেন।
২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ছাং সি লেই আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। একই বছরের ৮ অগাস্ট তাঁর প্রথম বিশেষ কনসার্ট 'আমি এবং তুমি—স্বপ্ন' বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়।
২০১০ সালের ২১ জুলাই ছাং সি লেই-এর প্রথম অ্যালবাম 'নিজে' প্রকাশিত হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি 'হথর্ন গাছের ভালোবাসা' নামের চলচ্চিত্রের জন্য থিম সং 'হথর্ন গাছ', 'হথর্ন গাছের ভালোবাসা', 'সে কোথাও যাবে, আমিও কোথাও যাবো' –এই তিনটি গান গেয়েছেন।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, ছাং সি লেই প্রথমবারের মতো অনলাইনে কনসার্ট আয়োজন করেন। ৩ ঘন্টার কনসার্টে দর্শকের সংখ্যা সবসময় ৩০ হাজারেরও বেশি ছিল।
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ছাং সি লেই চীনের শাংহাই টেলিভিশনের প্রতিনিধিত্ব করে চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র বিশেষ অনুষ্ঠানে 'আমি বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চাই'-এ অংশ নিয়ে প্রথম আট জনের একজন হন।
২০১৩ সালে ছাং সি লেই সিসিটিভি'র বড় আকারের টিভি দাতব্য অনুষ্ঠান 'স্বপ্নের অংশীদারি'তে শিশুদের জন্য গান পরিবেশন করেন।
২০১৪ সালে ছাং সি লেই চলচ্চিত্র 'ফিরে আসা'র জন্য থিম সং 'তোমার সঙ্গে বিশ্বের শেষ প্রান্তে যাবো'-তে কণ্ঠ দেন। একই বছরের জুলাই ও অগাস্ট মাসে ছাং সি লেই কন্ঠশিল্পী লি ছুয়ানের সঙ্গে দেশের ১৫টি শহরে ট্যুর কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাং সি লেই '২৮ বছর বয়স' নামের চলচ্চিত্রের জন্য থিম সং 'আমি, আমি' রচনা করেন এবং গানে কন্ঠ দেন।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি 'তোমার সঙ্গে দেখা হলে খুব ভালো লাগে' শীর্ষক চলচ্চিত্রের জন্য থিম সং 'তোমার সঙ্গে দেখা করা' গেয়েছেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছাং সি লেই-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)