আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি আলিম এবং শিয়েনান আকাশ।
আকাশ: বন্ধুরা, এখন নভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া তথা কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে চীনে চিকিত্সকসহ সবাই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ মহামরীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।আসলে এ কঠিন মূহুর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা চীনকে বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা এবং সমর্থন দিয়ে আসছে। এ সব দেখে আমি অনেক মুগ্ধ এবং উত্সাহিত হয়েছি।
সম্প্রতি চীনের পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ Bora Milutinovic চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে সাক্ষাৎকার দেন। তিনি জানান, তিনি সবসময় চীনের ফুটবলের ওপর নজর রেখে আসছেন। তিনি আশা করেন, ২০২২ সালের কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে চীনের দল দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি তিনি কামনা করেন চীন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবে।
বড় ভাই, Bora Milutinovic আমাদের চীনা ফুটবল এবং চীনা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে একজন হিরো। এটা কি আপনি জানেন? তিনি চীনের পুরুষ ফুটবল দলটিকে ২০০২ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্বে ফৌঁছে দিতে সাহায্য করেছিলেন। চীনের পুরুষ ফুটবল দল সে-ই প্রথম ও শেষ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল। ১৮ বছর পার হয়েছে, আমরা কখনওই তাঁকে ভুলব না। তিনিও বলেছেন, তিনি এখন চীনে নন, কিন্তু তার মন সবসময় চীনের ফুটবলের সাথে থাকে।
তিনি বলেন, 'আগে আমি চীনের কোচ ছিলাম। আমি খুবই ভাগ্যবান যে, আমি চীনা দলকে কোচিং করিয়েছি। আমরা একসাথে চীনের মানুষকে সুন্দর সময় উপহার দিতে পেরেছি। চীনা জনগণও অসাধারণভাবে আমাদেরকে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন। চীন আমার জন্য বিশেষ একটি দেশ। চীনের প্রতি আমি আমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারি আজও।'
এখনকার চীনের ফুটবল দলের কোচ লি ঠেই আগে Bora Milutinovic-এর শিষ্য ছিলেন। এখন তিনি দেশের প্রধান ফুটবল কোচ। তিনি চীনা দলটি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। Bora Milutinovic লি ঠেইয়ের অনেক প্রশংসা করেন। তিনি জানান, লি ঠেই একজন অসাধারণ কোচ। চীনা দলকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য তার আছে।
চীনের মহামারী সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি সবসময় বিষয়টির উপর বিশেষ নজর রাখছেন। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত, তিনি চীনে ৩০ থেকে ৪০ বার যাওয়া-আসা করেছেন। চীনে যাওয়া তার কাছে নিজেদের বাড়িতে ফেরার মতোই।
তিনি বলেন, 'আশা করি চীনা জনগণ আগেই মতই, মনোবল হারাবে না,কঠিন সময় অতিক্রম করবে; আমার মন সবসময় চীনা জনগণের সাথে থাকে। আমি আমার একটি কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই: দৃষ্টিভঙ্গিই সব। চীনের মহামারী প্রতিরোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়ী হবেন। আমি সবসময় আপনাদের জন্য প্রার্থনা করি।'
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তিনি চীনা ভাষায় একটি কথা বলেন; তিনি বলেন,
আলিম:'আমার মন তোমার সাথে আছে, চীন'।
আকাশ: বড় ভাই, এ সাক্ষাৎকার পড়ে আমি মুগ্ধ। ভাইরাস হচ্ছে নিষ্ঠুর, কিন্তু মানুষের মাঝে সত্যিকারের ভালোবাসা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্বের সবার চেষ্টার মাধ্যমে আমরা অবশ্যই একযোগে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবো।