চীন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে: বিদেশি বিশেষজ্ঞদল
  2020-02-25 15:48:09  cri
চীনে ৯ দিনব্যাপী পরিদর্শনকাজশেষে চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার যৌথ বিশেষজ্ঞদল গতকাল (সোমবার) বেইজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে। পরিদর্শকদলের বিদেশি পক্ষের প্রধান মহামারী প্রতিরোধে চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।

পরিদর্শকদলের চীনা পক্ষের প্রধান, চীনা জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের নভেল করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞদলের প্রধান লিয়াং উয়ান নিয়েন সম্মেলনে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভাইরাসের ১০৪টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা গেছে ভাইরাসে কোনো জিনগত পরিবর্তন ঘটেনি। চীনের সংক্রামক রোগ নেটওয়ার্ক তথ্যব্যবস্থার পরিসংখ্যান এবং বেইজিং, কুয়াং তোং, সি ছুয়ান, হু পেই ইত্যাদি শহর ও প্রদেশের বাস্তব জরিপ অনুসারে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নভেল করোনা ভাইরাসের নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো আছে: আক্রান্তদের গড় বয়স ৫১; ৩০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী রোগীর সংখ্যা মোট রোগীর ৭৭.৮ শতাংশ; ৭৭.৫ শতাংশ রোগী হুপেই প্রদেশের; প্রাপ্ত গবেষণা অনুসারে ধারণা করা হচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের উত্স বাঁদুর।

লিয়াং উয়ান নিয়ান বলেন, এই ভাইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি ও স্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। বাতাসেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। কোনো কোনো রোগীর মলেও ভাইরাস পাওয়া গেছে। এর মানে মলের মাধ্যমেও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

পরিদর্শকদলের বিদেশি পক্ষের প্রধান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার মহাপরিচালকের উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা ব্রুস আইলওয়ার্ড বলেন, মহামারীর শুরুতে চীন বিভিন্ন জায়গায় প্রায় অভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গার বাস্তব অবস্থা ও ভাইরাসের সংক্রমণের বৈশিষ্ট্য অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সব দেখেশুনে বিশেষজ্ঞদল মনে করে, চীনের শক্তিশালী পদক্ষেপ কার্যকরভাবে মহামারী পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকিয়ে দিয়েছে। প্রায় ২ সপ্তাহ আগে চীনে প্রতিদিন নতুন রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছিল ২০০০-এর বেশি করে। তবে গত রোববার এই সংখ্যা ছিল শুধু ৪১৬ জন। ২ সপ্তাহের মধ্য ৮০ শতাংশ কমেছে।

তিনি বলেন, মহামারী মোকাবিলার প্রক্রিয়ায়, কেউ কেউ ভেবেছিলেন, কার্যকর ওষুধ না-থাকায় ভাইরাস মোকাবিলার উপায় নেই। তবে চীন প্রাপ্ত ওষুধই চিকিত্সায় সফলভাবে কাজে লাগিয়েছে। প্রাণ বাঁচানোর সব চেষ্টা করেছেন চীনা চিকিত্সকরা। এভাবে তারা সফলও হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, চীন সরকার ও গোটা চীনা সমাজ একসঙ্গে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্য অর্জিত না হলে ভাইরাসে আরও হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হতেন।

উল্লেখ্য, পরিদর্শকদল ১৭ ফেব্রুয়ারি বেইজিং, কুয়াং তোং ও সি ছুয়ান এবং ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়অরি হুপেই প্রদেশ পরিদর্শন করে।

(তুহিনা/আলিম/ছাই)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040