গত ২০ ফেব্রুয়ারি এই পত্রিকার ৫৩ জন কর্মী যৌথভাবে এই পত্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তারা বলেন, এই শিরোনাম পুরোপুরি ভুল। এই প্রবন্ধ চীনসহ অনেকের স্বার্থের ক্ষতি করেছে। তারা ক্ষমা চায়।
সবাই জানেন, যুক্তরাষ্ট্র এক বহুজাতিক দেশ। এখানে স্বাভাবিকভাবে বর্ণবৈষম্যকে অপছন্দ করা হয়। এদেশেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এমন বর্ণবৈষম্যমূলক প্রচারণা চালিয়েছে, যা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রবন্ধটি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দ্বারাও সমালোচিত হয়েছে। তারা বলেছেন, এটি শুধু সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে, তা নয়; বরং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার চীনা ও প্রবাসী চীনাদের প্রতি প্রকারান্তরে ঘৃণা ছড়িয়েছে। এটা খুব জঘণ্য আচরণ।
এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বেইজিংয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তিন জন সাংবাদিকের প্রেস কার্ড বাতিল করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পত্রিকাটি ক্ষমা না-চাওয়ায় মন্ত্রণালয় এ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। চীনের আইনানুসারেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হ্যাসকর ব্যাপার হচ্ছে, চীনের এই ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে মার্কিন সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও 'মত প্রকাশের স্বাধীনতার' দোহাই দিয়ে চীনের সমালোচনা করেছেন।(ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)