অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, ক্রমাগত দুর্ঘটনা সত্ত্বেও, সান আন্তোনিওর বাসিন্দাদের কাজ ও জীবনধারণের একমাত্র উপায় এই পুরানো সেতু।
গুয়ারানি মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাজন বৃষ্টির বনে বাস করে এবং তারা পরিবেশগত পরিবেশ সম্পর্কে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। চীন রেলওয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সেতু নির্মাণ ও প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ মারিও পেরেজ বলেছেন যে, এই রাস্তাটি উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। তাই, পাহাড়ের শূকরের মতো বন্য প্রাণীদের প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্মাতারা ৩০০টিরও বেশি কালভার্ট নির্মাণ করেন। স্থানীয় গাছপালা রক্ষা করেছিলেন। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা নির্মাণ লাইনের সঙ্গে প্রচুর হাঁড়ি, পাথরের সরঞ্জাম এবং অলঙ্কারের মতো প্রচুর সাংস্কৃতিক প্রতীক খুঁজে পান। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রাচীন গুরানি পূর্বপুরুষরা প্রাচীন কাল থেকেই এই দেশে বাস করছেন। সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি আবিষ্কারের পরে, চীন রেলওয়ে আন্তর্জাতিক গ্রুপ তত্ক্ষণাৎ স্থানীয় অঞ্চলটিকে যাদুঘরটির সুরক্ষা ও প্রস্তুতিতে সহায়তা করে। "আমাদের পরিবেশ পূর্বপুরুষদের কাছে সম্মানিত গুরানি সভ্যতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।"
গুরানির লোকেরা প্রত্যন্ত স্থানে বাস করে, তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষে। খুবই অল্প তাদের বাহ্যিক যোগাযোগ।
হুয়ান বলেছিলেন, "গুরানির লোকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড়ের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। এক্ষেত্রে আমাদের সহায়তার জন্য তারা চীনকে ধন্যবাদ জানায় এবং আশা করি, আমার শহরটা চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি রাস্তা দিয়ে দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।"
মসৃণ সড়ত কেবল জীবনকেই সহজ করে না, উন্নয়নের নতুন সুযোগও নিয়ে আসে। হুয়ান বলেন, মহাসড়কটি শেষ হওয়ার পরে গুরানি জনগণের পক্ষে শিম ও গরুর মাংসের মতো উচ্চমানের কৃষিজাত পণ্য রফতানি করা সম্ভব হবে এবং চীনা গ্রাহকদের টেবিলে আরও উচ্চমানের বলিভিয়ার কৃষিপণ্য তুলে দেওয়া যাবে।
চীনের রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ দক্ষিণ আমেরিকা শাখার মহাব্যবস্থাপক জিয়াং থাও বলেন, ল্যান্ডলকড দেশ হিসাবে সরকার হাইওয়ে নির্মাণকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। চীনা কোম্পানিগুলি বলিভিয়া সরকারের জীবিকা প্রকল্পগুলিতে উন্নত প্রযুক্তি দিয়েছে, স্থানীয় মানুষের সঙ্গে উন্নয়ন ভাগ করে নিয়েছে এবং পূর্ব বলিভিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোরদার করছে।
"এই সেতু এবং এমনকি পুরো হাইওয়ে প্রকল্পটি চীন-বলিভিয়া 'এক অঞ্চল, এক পথ'-এর কাঠামোর আওতায় অবকাঠামোগত সহযোগিতার অন্যতম প্রতীক।" বলিভিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত হুয়াং ইয়াচুং বলেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন ও বলিভিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় চীন-বলিভিয়া 'এক অঞ্চল, এক পথ' সহযোগিতায় লাতিন আমেরিকা নেতৃত্ব দিয়েছে।