আলিম: বন্ধুরা, ২০১৯ সালের শেষ দিকে, চীনের মারাথ্যন দল কেনিয়ার eldoret-এ গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে। তারা টোকিও অলিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ নেয়। চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সাংবাদিক সম্প্রতি ওখানে যান। আজকে আমরা তাদের প্রতিবেদন একসাথে শুনব, কেমন?
সকালে সাড়ে পাচঁটায়, কেনিয়ার পাশ্চিমাঞ্চলের eldoret তখনও অন্ধকারে। চীনের ম্যারাথন দৌড়বিদ তং কুও চিয়ান এবং তার দলের অন্য সতীর্থরা প্রস্তুত। তাদের আজকের মিশন হচ্ছে কেনিয়ার খেলোয়াড়দের সাথে যৌথ প্রশিক্ষণগ্রহণ।
(সাক্ষাতকার:)
সাংবাদিক (আকাশ): আপনারা এখন কোথায় যাচ্ছেন?
তং কুও চিয়ান (আলিম): eliud kipchoge যাব। ওখানে কেনিয়ার দৌড়বিদদের প্রশিক্ষণ-ক্যাম্প। ওখানে তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেবো।
সাংবাদিক: আপনাদেরকে কী কী প্রস্তুতি নিতে হয়?
তং কুও চিয়ান: কিছু পানীয় এবং শুকনো কাপড় নিতে হয়।
আলিম: Eldoret মারাথ্যান এ খেলাধুলার জন্য অনেক বিখ্যাত। এখানে ৮০ জনেরও বেশি বিশ্ব-বিখ্যাত ম্যারাথন দৌড়বিদ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনসহ অনেক দেশের খেলোয়াড়রা এখানে এসে স্থানীয় দৌড়বিদদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেন।
গাড়িতে আমরা প্রায় আধা ঘন্টায় প্রশিক্ষণ-ক্যাম্পে পৌঁছেছি। কিছুটা ওয়ার্ম আপ করে নিয়ে দৌড়বিদরা ৫ কিলোমিটারের ওয়ার্ম আপ রানিং শুরু করেছেন। এ দিনের প্রশিক্ষণ হচ্ছে ইন্টারভেল রান। এতে প্রায় ৪০ জন স্থানীয় দৌড়বিদরন সাথে চীনা ক্রীড়াবিদরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
আকাশ: বড় ভাই, চীনের ফুটবলারদের জন্য অনেক আগে থেকেই একটি বিখ্যাত প্রশিক্ষণ বেইজ আছে। আপনি আগে শুনেছেন কি? এর নাম হচ্ছে হাই কেং খেলাধুলা প্রশিক্ষণ বেইজ। এটা অবস্থিত ইউ নান প্রদেশের খুন মিং শহরের তিয়ান ছি হ্রদের পাশে। হাই কেং প্রশিক্ষণ বেইজ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮৮৮ আটাশি মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ১৯৭৫ পঁচাত্তর সাল থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়। এই বেইজ চীনের খেলাধুলা বিশেষ করে ফুটবল উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। ফুটবল প্রশিক্ষণ ছাড়া ওখানে সাঁতার, টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল, রাগবি, ডাইভিং, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডসহ বিভিন্ন খেলাধুলার প্রশিক্ষণকার্যক্রমও চলে। আমি শুনেছি, ওখানে প্রশিক্ষণের পর, ক্রীড়াবিদদের সক্ষমতা অনেক উন্নত হয়। আমি ভাবছি, এজন্য চীনের ম্যারাথন দৌড়বিদরা আফ্রিকার একটি মালভূমিতে গিয়েছেন। বড় ভাই ,আমার নিজের কিছু গল্প বলতে চাই। আমি তিব্বতে কিছু সময় ছিলাম। প্রথম দিকে আমি ওখানে কিছুটা সময় শরীরচর্চা করলেই heart beat অনেক দ্রুত হয়ে যেতো। কিন্তু আস্তে আস্তে কিছুদিন পর শরীর অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তারপর আমি বেইজিংয়ে ফিরে আসার পর আবিষ্কার করি যে, আমার শরীরচর্চার সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আমার মনে হয় মালভূমিতে ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার এটা বড় কারণ।