ইয়ু জুন চিয়ানের বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার; তাঁর মা নারীবিষয়ক একজন কর্মকর্তা। যদিও ছোটবেলা থেকে ইয়ু জুন চিয়ান গান গাইতে অনেক পছন্দ করতে, তবে তিনি তখন কল্পনাও করতে পারেননি যে গান গাওয়া তাঁর জীবনের একমাত্র ব্রত হবে।
১৯৭১ সালে কুয়াং সি নর্ভাল ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার সময় তিনি কুই লিন নৃত্যগীতি দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে তিনি 'লিউ সান চিয়েই' নামের একটি অপেরা অ্যালবাম তৈরি করেন।
১৯৭৯ সালে ইয়ু জুন চিয়ান চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে 'ইয়ু জুন চিযানের শ্রেষ্ঠ গান' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৮১ সালে ইয়ু জুন চিয়ান কুয়াং চৌ শহরে 'ইয়ু জুন চিয়ানের একক সঙ্গীত' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৮২ সালে কুয়াংচৌ শহরে ইয়ু জুন চিয়ান আবার 'শাও লিন, শাও লিন—ইয়ু জুন চিয়ানের গাওয়া গান' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৮৫ সালে ফেং লি ইউয়ান এবং ইয়ু জুন চিয়ানের গাওয়া গান 'নতুন যুগে প্রবেশ করা' চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়। একই বছর তিনি চায়না কোনসাভোটারি অব মিউজিক থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৮৬ সালের বেইজিংয়ে ইয়ু জুন চিয়ান 'ছোট পপলার গাছ' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছর তিনি সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে 'বসন্ত উত্সব উদযাপন' এবং 'আলি পাহাড়ের মেয়ে' নামের দুই গান পরিবেশন করেন।
১৯৮৭ সালে ইয়ু জুন চিয়ান আবার সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে 'আমি বসন্তের বাতাস, আমি ভালোবাসা' নামের গানটি পরিবেশন করেন।
১৯৮৮ সালে ইয়ু জুন চিযান কুয়াংচৌ শহরে 'ঘুড়ি' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৮৯ সালে বেইজিংয়ে 'পাহাড় ও নদীর ভালোবাসা' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৯১ সালে হংকং এবং যুক্তরাষ্ট্রে 'তোমার জন্য হাজারটি শরত্কাল অপেক্ষা করবো' নামের অ্যালবাম প্রকাশ করেন। একই বছর তিনি আবারও সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
১৯৯৪ সালে ইয়ু জুন চিয়ানের এমটিভি 'মনের কথা বলা' চীনের এমটিভির স্বর্ণপদক লাভ করে।
২০১০ সালে ইয়ু জুন চিয়ান সিসিটিভির বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে 'সমৃদ্ধ যুগের গান' পরিবেশন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইয়ু জুন চিয়ানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)