রুং চুং আর চিয়া হল তিব্বতি ভাষার নাম। এখানে রুং চুং মানে 'অসংখ্য সুখ'। আর চিয়া মানে চিরদিন। রু চুং আর চিয়া ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতানুরাগী ছিলেন। মাধ্যমিক স্কুলের সময় তিনি স্কুলের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। ১৯৯১ সালে তিনি গান রচনা শুরু করেন।
১৯৯৪ সালে রু চুং আর চিয়া চীনের চৌ চাই গৌ জাতীয় শিল্পী দলে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে রু চুং আর চিয়া বেইজিংয়ে গিয়ে সূরকার ওয়াং ফু লিনের কাছ থেকে সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন।
২০০০ সালের মধ্যশরত্ উত্সবের সময় রু চুং আর চিয়াং চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একই বছরের নভেম্বর মাসে তিনি সিসিটিভি'র নান নিং আন্তর্জাতিক লোকগান উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
২০০১ সালে রুং চুং আর চিয়া সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে 'বিশ বছর পর আমরা আবারও দেখা করবো' নামের গান পরিবেশন করেন।
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, রুং চুং আর চিয়া চীনের মেইচৌ শহরের প্রথম আন্তর্জাতিক লোকগান উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
২০০৪ সালের মার্চ মাসে, রুং চুং আর চিয়া সিসিটিভি'র 'বিশ বছর পর আবার মিলন' নামের বড় আকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে, রুং চুং আর চিয়া চীনের ছুং ছিং শহরের পঞ্চম পিয়োনি ফুল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে, রুং চুং আর চিয়া 'সুষম সমাজের গান' নামে চীনের বিভিন্ন জাতির জাতীয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একই বছর তিনি তিব্বতি পঞ্জিকার নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে চীনের সিসিটিভি'র আয়োজিত 'তাইওয়ান প্রণালী দু'তীরের বড় আকারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে' রুং চুং আর চিয়া অংশ নেন। একই বছরের এপ্রিল মাসে তিনি সিসিটিভি'র 'আনন্দময় চীন যাত্রা' নামের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ও গান পরিবেশন করেন।
২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি, রুং চুং আর চিয়া বেইজিংয়ে গণমহাভবনে বেইজিংয়ের নববর্ষের সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। এরপর ২২ জানুয়ারি তিনি কুয়াং তুং প্রদেশের কুয়াংতুং টেলিভিশনের বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন।
২০১২ সালের ১১ অগাস্ট, রুং চুং আর চিয়া প্রথম কুয়াংতুং পপসঙ্গীত উত্সবে অংশ নিয়ে পুরস্কার লাভ করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুং চুং আর চিয়া-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে। (শুয়েই/আলিম/সুবর্ণা)