এ দু'টি ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, চীন উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে ভাইরাস প্রতিরোধে সহযোগিতা করছে এবং স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক তত্পরতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এটি শুধু যে চীনা নাগরিকদের কল্যাণের জন্য, তা নয়; বরং বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, রোববার চীনের হুপেই ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ ছিল জন। এ নিয়ে টানা ১৩ দিন হুপেইয়ের বাইরে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। হু'র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানম বলেন, চীন ভাইরাসের ওপর উত্সমূলে আঘাত হানতে গিয়ে বড় ধরনে মূল্য দিয়েছে। বিশ্ব এ থেকে উপকৃত হয়েছে।
আমরা জানি, নভেল করোনাভাইরাস আঘাত হানার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সবার আগে উহান থেকে কনসুলেটের কর্মীদেরকে সরিয়ে নেয়। মার্কিন সরকার হু'র প্রস্তাব বিবেচনা না-করে চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর সার্বিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বস্তুত, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে 'বিচ্ছিন্নতা'-র ধারণার চেয়ে অবাস্তব ও হাস্যকর ধারণা আর নেই। (ছাই/আলিম/তুহিনা)